অনলাইন ডেস্ক :
উত্তর কোরিয়া আবারও আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। স্থানীয় সময় রোববার (১৯ মার্চ) সকাল ১১টা পাঁচ মিনিটে ডংচাং-রি সাইট থেকে মিসাইলটি উৎক্ষেপণ করা হয় বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। মিসাইলটি প্রায় ৮০০ মিটার পথ অতিক্রম করে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। উত্তরের সাম্প্রতিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ধারাবাহিকতাকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে আখ্যায়িত করে নিন্দা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এর সমালোচনা করেছে। জাপানের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী তোশিরো ইনো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উত্তর কোরিয়ার আচরণ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং এটি অগ্রহণযোগ্য। জাপান বেইজিংয়ে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড জানিয়েছে, রোববারের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ মার্কিন কর্মীদের বা তার মিত্রদের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি সৃষ্টি করে না। তবে সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ দেশটির বেআইনি গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির অস্থিতিশীল প্রভাব তুলে ধরে বলে এতে যোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কোরীয় উপদ্বীপ এবং জাপানের মধ্যবর্তী সমুদ্রে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া। এর কয়েক ঘন্টা পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট একটি শীর্ষ সম্মেলনের জন্য টোকিও যান, যেখানে উত্তরের বিরুদ্ধে লড়াই করার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের মিসাইল উৎক্ষেপণ চলমান মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক মহড়ার বিরুদ্ধে একটি সতর্কতা ছিল বলে দাবি করেছে পিয়ংইয়ং। এদিকে, উত্তরের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলা করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকান বাহিনী গত সপ্তাহের শুরুতে ‘ফ্রিডম শিল্ড ২৩’ নামে ১১ দিনের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করে। সূত্র: আরব নিউজ।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু