নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের আবাসন খাতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে, যা ফ্ল্যাট বুকিং ও বিক্রির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হ্রাসের কারণ হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঢাকায় ফ্ল্যাট বুকিং ও বিক্রি কমে গেছে, ফলে অনেক গ্রাহক আগে বুকিং দেওয়া ফ্ল্যাটের কিস্তিও পরিশোধ করছেন না। এই পরিস্থিতির ফলে ছোট ও মাঝারি আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক সংকটে পড়ছে।
নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) কার্যকর হওয়ার পর আবাসন খাতে নতুন প্রকল্পের সংখ্যা কমে গেছে। সূত্রমতে, ঢাকা মহানগরের বেশিরভাগ এলাকায় আগে যেসব ভবনের আয়তন পাওয়া যেত, বর্তমানে তা ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে জমির মালিকরা আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রকল্প করতে আগ্রহী হচ্ছেন না।
অবশ্য, আবাসন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ড্যাপ সংশোধন নিয়েই তারা সবচেয়ে বেশি চিন্তিত। গত দুই মাসে ফ্ল্যাটের বিক্রি গড়ে ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান কর্মীদের বেতন ও অফিসের ভাড়া দিতে হিমশিম খাচ্ছে, এবং নির্মাণ ব্যয়ের চেয়েও কম দামে কিছু ফ্ল্যাট বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
রিহ্যাবের মতে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত দুই মাসে আবাসনের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। তবে মাঝারি দামের ফ্ল্যাটের বিক্রি কিছু ক্ষেত্রে বেড়েছে।
এদিকে, আবাসন ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, ড্যাপের কারণে প্রকল্পের জন্য জমি পাওয়া যাচ্ছে না এবং নকশা পাস করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। রিহ্যাব সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, এ অবস্থায় আবাসন খাতে স্থবিরতা মোকাবেলা করতে হলে ড্যাপের সংশোধন অত্যাবশ্যক। চলতি মাসে রিহ্যাব, রাজউক চেয়ারম্যানের সঙ্গে ড্যাপ সংশোধনের বিষয়ে বৈঠক করেছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ