March 28, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, October 14th, 2021, 6:49 pm

আবু ধাবিতে টাইগারদের দৈন্য দশা, হেসেখেলে জিতল আয়ারল্যান্ড

অনলাইন ডেস্ক :

ওমান একাদশের বিপক্ষে যেভাবে ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ তাতে দারুণ কিছুর আভাসই মিলেছিল। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরুর আগে আইসিসির আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচ দুটিতে নিজেদের খুঁজে ফিরছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ উইকেটে হারের পর বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে ৩৩ রানের বড় ব্যবধানে। আবু ধাবির শেখ জায়েদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে আয়ারল্যান্ড। শুরু থেকে সাবলীল ব্যাটিং করা আইরিশরা ৩ উইকেটে ১৭৭ রানের বড় পুঁজি পায় গ্যারেথ ডেলানির অপরাজিত ৮৮ রানের ঝড়ে চড়ে। জবাবে শুরু থেকেই উল্টো চিত্র বাংলাদেশ ইনিংসে, খেই হারিয়ে থেমেছে ৯ উইকেটে ১৪৪ রানে। সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে। ৩৭ রান করেন সৌম্য সরকার। ৪ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটিতে ৩৩ রান তুলে ফেলে আইরিশ দুই ওপেনার অ্যান্ড্রু বালবার্নি ও পল স্টারলিং। স্টারলিংকে (১৬ বলে ২২) বোল্ড করে জুটি ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। তিন নম্বরে নামা গ্যারেথ ডেলানিকে নিয়ে বালবার্নির ৩১ রানের জুটি, পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই আইরিশদের স্কোরবোর্ডে ১ উইকেটে ৫৭। তবে তাসকিন আহমেদের বলে বালবার্নি (২২ বলে ২৫) ফিরেছেন বোল্ড হয়ে। ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটসম্যান জর্জ ডকরেলকেও (৯ বলে ৯) বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তাসকিন, পরিণত করেন শেখ মেহেদীর ক্যাচে। ৩ উইকেটে ৭৮ রানে পরিণত হয় আয়ারল্যান্ড। তবে রানের গতি কমেনি খুব একটা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে হ্যারি টেক্টরকে নিয়ে গ্যারেথ ডেলানি রান তোলেন ঝড়ো গতিতে। দুজনে মিলে অবিচ্ছেদ্য জুটিতে যোগ করে ৬২ বলে ৯৯ রান। ৩৩ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ডেলানি যেন আরও আক্রমণাত্মক। মুস্তাফিজের করা ১৭তম ওভারে হাঁকান টানা দুই ছক্কা, ঐ ওভার থেকে রান আসে ১৫। ১৮তম ওভারে শরিফুল ইসলামকেও হাঁকান ১ ছক্কা। মুস্তাফিজের করা ১৯তম ওভারেও তার ব্যাটে ১ ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ৩ চার ৮ ছক্কায় ৮৮ রানে ডেলানি ও ২৩ বলে ১ চারে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন টেক্টর। ১৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে যেমন শুরু প্রয়োজন ছিল তার ঠিক উল্টো চিত্র বাংলাদেশ ইনিংসে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফেরেন ওপেনার নাইম শেখ (৩), পরের ওভারে লিটন দাসও (১)। আরেক দফা ব্যর্থ হয়ে মুশফিকুর রহিম বোল্ড হয়েছেন ৪ রান করে। তাতে ১৫ রানেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে আগের ম্যাচের সর্বোচ্চ স্কোরার সৌম্য সরকার ও আফিফ হোসেনের ৩৭ রানের জুটি। ১৬ বলে ১৭ রান করে বোল্ড হন আফিফও। নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে ৩০ রানের জুটিতে দলকে পথে রাখার চেষ্টা সৌম্যর। তবে দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে কাটা পড়ে তাকে থামতে হয় ৩০ বলে ১ চার ২ ছক্কায় ৩৭ রানে। সিমি সিংয়ের বলে বোল্ড হয়ে শামীম পাটোয়ারীও ( ৭ বলে ১) ফেরেন দ্রুত। বাংলাদেশ পরিণত হয় ৬ উইকেটে ৯০ রানে। শেষ ৬ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৮৬ রান। তবে আশা দেখানো নুরুল হাসান সোহানও ব্যর্থ হন মূল কাজটা করতে। ২৪ বলে ৬ চারে ৩৮ রানেই থামতে হয় এই উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যানকে। মাঝে হতাশ করে যান শেখ মেহেদীও (৯)। ততক্ষণে ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়া বাংলাদেশ কেবল হারের ব্যবধান কমায় তাসকিনের ১১ বলে অপরাজিত ১৪ রানে। আইরিশদের হয়ে মার্ক অ্যাডায়ারের শিকার ৩৩ রান খরচায় ৩ উইকেট। ২ টি করে নেন ক্রেইগ ইয়াং ও জশুয়া লিটল।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
আয়ারল্যান্ড ১৭৭/৩ (২০), স্টারলিং ২২, বালবার্নি ২৫, ডেলানি ৮৮*, ডকরেল ৯, টেক্টর ২৩*; তাসকিন ৪-০-২৬-২, নাসুম ৩-০-৩৩-১
বাংলাদেশ ১৪৪/১০ (২০), নাইম ৩, লিটন ১, সৌম্য ৩৭, মুশফিক ৪, আফিফ ১৭, নুরুল ৩৮, শামীম ১, মেহেদী ৯, তাসকিন ১৪*, নাসুম ০, মুস্তাফিজ ৭; ইয়াং ৩-০-২১-২, লিটল ৪-০-২২-২, সিমি ৪-০-১৯-১, অ্যাডায়ার ৪-০-৩৩-৩, হোয়াইট ৪-০-৩৭-১
ফলাফলঃ আয়ারল্যান্ড ৩৩ রানে জয়ী।