রোহিঙ্গাদের সহায়তা করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে তাদের আশ্রয়দানকারী বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) কক্সবাজার সফর করেন তিনি।
আফরিন আখতার বলেন, ‘এই অঞ্চলকে প্রভাবিত করে এমন একটি মানবিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের অংশীদারদের প্রচেষ্টায় অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমরা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের দিকে মনোনিবেশ করছি।’
মঙ্গলবার আরআরআরসি’র মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা উল্লেখ করে আখতার বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ‘স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ’ হতে হবে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল না হওয়ায় প্রত্যাবাসনে জোরপূর্বক কোনো প্রচেষ্টা চালানো উচিত নয়।
আখতার বলেন, ‘তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনসহ একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে আমরা বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাব।’
তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা এবং ‘অবিশ্বাস্য উদারতার’ প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সত্যিই উদারতার প্রশংসা করি।’
২০১৭ সালে দমন পীড়ন থেকে বাঁচতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
১৬-১৭ অক্টোবর সফরকালে তিনি ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের সদস্য, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও মানবিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বাংলাদেশে অবস্থানকালে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও ফলপ্রসূ বৈঠক করেন আফরিন আখতার।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় সুশীল সমাজের সদস্য ও এনজিও প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সরাসরি তাদের বক্তব্য শুনেছেন তিনি।
প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী, বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা ও মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ ছাড়াও, প্রতিনিধিদল শরণার্থীদের জীবন এবং আশ্রয় শিবিরের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান তারা।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি