November 17, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, April 3rd, 2023, 7:53 pm

আমার বিকৃত ছবি পর্নো সাইটে আপলোড করার হুমকি: স্বস্তিকা

অনলাইন ডেস্ক :

ভারতীয় বাংলা সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। তার অভিনীত মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘শিবপুর’। কিন্তু এ সিনেমার প্রযোজকের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন এই অভিনেত্রী। এখানেই শেষ নয়, মামলাও দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন স্বস্তিকা। স্বস্তিকা বললেন, ‘চুক্তিপত্রে অজন্তা সিংহের স্বাক্ষর ছিল। সন্দীপ সরকার যে আরো একজন প্রযোজক, সেটা তো এখন জানতে পারলাম! গত এক মাস ধরে সন্দীপ সরকার আমাকে ইমেলে হুমকি দিচ্ছেন। প্রথমে কিছু বলিনি। কিন্তু শেষে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। পরে আমি পুলিশে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হই।’ গত ২১ মার্চ গলফ গ্রীন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্বস্তিকা। অভিনেত্রীকে ঠিক কী ধরনের হুমকি দেওয়া হয়েছে? জবাবে স্বস্তিকা বলেন, ‘এ কথা বলে শেষ করতে পারব না। আমি সহযোগিতা না করলে আমাকে পুলিশে দেওয়া হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তরে আমার নামে অভিযোগ করা হবে। আমেরিকান দূতাবাসে অভিযোগ জানিয়ে আমার ভিসা বন্ধ করা হবে। আমেরিকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না- এ রকম আরো অনেক।’ কিন্তু আপনাকে কেন হুমকি দিচ্ছে? স্বস্তিকা বলেন, ‘আমি জানি না। আমি নাকি ওদের থেকে টাকা চেয়েছি! কিন্তু চুক্তির বাইরে একটা টাকাও আমি নিইনি। আমাকে নাকি যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। আরে, তা হলে আমার ম্যানেজার রয়েছেন কেন? মুম্বাইতে দিনের পর দিন কাজ করছি। ওখানে তো অভিনেতার ম্যানেজারই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন।’ স্বস্তিকার ছবি বিকৃত করে পর্নো সাইটে আপলোড করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার ছবি বিকৃত করে সেই ন্যুড ছবির স্যাম্পল ইমেলে পাঠিয়েছিলেন সন্দীপ সরকারের এক পরিচিতজন।’ এই ব্যক্তি ইমেলে নিজেকে একজন ‘হ্যাকার’ বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে স্বস্তিকা বলেন, ‘ওই ব্যক্তি সরাসরি লিখেছেন, সন্দীপ তার পরিচিত এবং আমি নাকি ওকে হেনস্তা করছি। আমি সহযোগিতা না করলে সেই ছবি পর্নো সাইটে আপলোড করে দেওয়ার হুমকি দেন।’ এত কিছুর পরও সন্দীপ নাকি স্বস্তিকার কাছে দাবি করেছেন যে, তিনি যা করেছেন ঠিক করেছেন। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। আপাতত এই সিনেমার প্রচারে থাকতে চান না স্বস্তিকা। এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার মনের অবস্থা ভালো নেই। প্রতিদিন সকাল সকাল ডেথ থ্রেট পেলে আর কাজের মানসিকতা থাকে না!’