অনলাইন ডেস্ক :
আমেরিকানরা ইরাকের বন্ধু নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি বলেছেন, আমেরিকানদের কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব নেই। এমনকি তারা তাদের ইউরোপীয় বন্ধুদের প্রতিও অনুগত নয়। ইরাকি প্রেসিডেন্টের তেরহান সফরের মধ্যেই খামেনির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তাকে উদ্ধৃত করে এ কথা বলা হয়।খামেনির সঙ্গে তেহরানে সাক্ষাৎ করেন ইরাকের প্রেসিডেন্ট আবদুল লতিফ রশিদ। এ সময় ইরাকে মার্কিনি উপস্থিতি নিয়ে খামেনি বলেন, ‘ইরাকে একজন আমেরিকানের উপস্থিতিও অনেক বেশি’।
প্রতিবেশী দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বহিষ্কারের ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি ইরাকের অগ্রগতিকে ইরানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন খামেনি। তিনি বলেন, ‘গত মাসে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক চুক্তিগুলোর পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন’।ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মী নেতা আরও বলেন, ‘ইরাক-ইরানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ফাটল ধরাতে শত্রুরা তৎপর। দুই দেশের মধ্যে দৃঢ়, ঐতিহাসিক এবং বিশ্বাসভিত্তিক সম্পর্ক যদি না থাকতো, সম্ভবত সম্পর্কের অবস্থা সাদ্দাম হোসেনের যুগে ফিরে যেতো’। প্রয়াত ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দম হোসেন ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পরপরই ইরানে আক্রমণ করেছিলেন।রশিদকে উদ্ধৃত খামেনির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়, তার সরকার ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে মতপার্থক্যগুলোর সমাধান করতে চায়।
গত অক্টোবরে নির্বাচনের পর রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে রশিদ প্রথম ইরান সফর করছেন। রশিদ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাগের গালিবাফের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।এর আগে ইরাকি প্রেসিডেন্টকে গত শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তেহরানের সাদাবাদ প্রাসাদে অভ্যর্থনা জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে দুই নেতা আলোচনার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন।রশিদ বলেন, ‘গত কয়েক দশক ধরে কঠিন সময়ে ইরানের সমর্থনকে ভুলে যাবে না ইরাক। দুই দেশকে এই অঞ্চলজুড়ে পানির অধিকার এবং মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়েও মনোযোগ দিতে হবে’।
ইরাকি প্রেসিডেন্ট ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এটি এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা জোরদার করবে’।অন্যদিকে রাইসি বলেন, ‘দুই দেশ জ্বালানি পরিবহনে একযোগে কাজ চালিয়ে যাবে। ইরান ও ইরাকের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক মজবুত হতে থাকবে যতক্ষণ না উভয় পক্ষের চাহিদা সম্পূর্ণরূপে পূরণ না হয়’।নভেম্বরের শেষের দিকে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী তেহরান সফর করেছিলেন। সফরে তিনি খামেনি এবং রাইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।সূত্র: আল জাজিরা
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু