প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার আরও ১১টি জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন। দেশে এরকম জেলার সংখ্যা ৩২টিতে পৌঁছেছে।
সদ্য ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ১১টি জেলা হলো- টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, পটুয়াখালী, সিলেট ও মৌলভীবাজার।
প্রধানমন্ত্রী ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৫৭টি প্রকল্পের অধীনে সারাদেশে ৫ হাজার ৩৯৭টি আশ্রয়ণ বাড়িসহ ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামো (প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা মোট ব্যয়) উদ্বোধনের সময় এই ঘোষণা দেন।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব অবকাঠামোর উদ্বোধন করেন।
এসময় সারাদেশের ৬৪টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ ১০১টি প্রান্ত ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিল। প্রকল্পগুলোর মোট আনুমানিক ব্যয় ৯৭ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা।
১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামোর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে ৪ হাজার ৬৪৪টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন বা উদ্বোধন করেন এবং ৪৬ট জেলার ১৩২টি উপজেলায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে নির্মিত ৫ হাজার ৩৯৭টি বাড়ি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে বিতরণ করেন।
আশ্রয়ণ ঘর বিতরণের পর প্রধানমন্ত্রী আরও ৬০টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।
নতুন ৬০টি নিয়ে এখন মোট ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারমুক্ত উপজেলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯৪ জনে।
যে ২১টি জেলাকে এর আগে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল সেগুলো হলো- পঞ্চগড়, মাগুরা, মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, নওগাঁ, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।
৪ হাজার ৬৪৪টি অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে ২০২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, ১ হাজার ৮০০টি মাদরাসা ভবন, ২৯৯টি একাডেমিক ভবন এবং ৪০টি প্রশাসনিক ভবন; মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীনে ৯৫২টি একাডেমিক ও গবেষণা ভবন; ১২টি ছাত্র ছাত্রাবাস ভবন; ২২২টি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র; ১২৮ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন; ৪৬ জেলায় সাব-রেজিস্টার অফিস ভবন; ১১০টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র; ২৫টি মুজিব কিল্লা; ২০টি সেতু; সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২২টি কমপ্লেক্স; স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীনে ৩৪টি ভবন; ৭টি ছাত্র মেস; ১৬টি ছাত্রাবাস; ২৩টি আইসিইউ; ৭৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক; ৪৬টি মেডিকেল কলেজ ভবন; ২৪টি নার্সিং কলেজ ভবন; ২৫টি জেলায় টেনিস অবকাঠামোগত উন্নয়ন; ১৩টি ক্রীড়া বিদ্যালয় ভবন; ২৬টি বিকেএসপি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র; ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র; ডাবল পাইপলাইনসহ ৩৮ এসপিএম; ১০টি গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ; ২৬টি পরিশোধন ইউনিটের কিস্তি; ২৪টি খনি খনন; ১৪০ গ্যাস প্লান্ট ক্রয় ও কিস্তি; ৩৩টি পাইপলাইন নির্মাণ; শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ১৮টি অবকাঠামো; ১১ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট অবকাঠামো; ৪০টি প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ১৪টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার ভবন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি