টানা এক মাসেরও বেশি মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের পর অবশেষে চুয়াডাঙ্গায় স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে। ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টির দেখা মিলেছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমের পর এই বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্বস্তি। প্রকৃতি ফিরে পেয়েছে প্রাণ।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ মিলিমিটার। তবে তার আগে আজও জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল রাত ১টা ১০ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জেলায় ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
এদিকে অনেক দিন পর বৃষ্টি পেয়ে অনেককেই ভিজতে দেখা গেছে। কেউ কেউ সড়কে, বাড়ির ছাদে ভিজছেন।
তবে সদরের বিভিন্ন এলাকায় এরই মধ্যে কৃষকরা ধান কাটা শুরু করেছেন। তারা কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদরের সরিষাডাংগা গ্রামের কয়েকজন কৃষক বলেন, আজ সকালে ধান কেটেছি। মাঠে এখনো ধান আছে। দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো। কালও যদি বৃষ্টি হয় তাহলে কিছুটা ক্ষতি হবে আমাদের।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য আমরা সদরের কৃষকদের আগে থেকেই জানিয়েছি। প্রায় ৯৫ শতাংশ কৃষক ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। যেগুলো এখনো মাঠে আছে তাতে এই বৃষ্টিতে ক্ষতি হবে তা বলা যাবে না।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আগামী ১২ মে পর্যন্ত জেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
দিনাজপুরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত ২