অনলাইন ডেস্ক :
টানা দুই হারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল সম্ভাবনা ঘোর সংকটে পড়ে গেছে পাকিস্তানের। এখন সুপার টুয়েলভের তিন ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি গ্রুপের অন্য ম্যাচের ফলাফলও তাদের অনুকূলে থাকা লাগবে। নেদারল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সেই আশা বাঁচিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। টুর্নামেন্টের প্রথম জয়ে গ্রুপ দুইয়ের পয়েন্ট টেবিলে পাকিস্তানের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি যদিও। ৩ ম্যাচে এক জয় ও দুই পয়েন্টে তাদের অবস্থান পাঁচ। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ভারত। ৩ ম্যাচে তাদের মতো সমান পয়েন্ট নিয়ে তার পরেই আছে বাংলাদেশ। তিনে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২ ম্যাচে ৩। চারে থাকা জিম্বাবুয়ের ৩ ম্যাচে অর্জন ৩। পার্থে মাত্র ৯২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তানের প্রথম জয়টা যতটা সহজ ভাবা হচ্ছিল, ততটা সহজ হয়নি যদিও। জয়ের পথে সঠিক ছন্দে ছিল না তারা। ৯১ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়েছে। ভাগ্যভালো যে রিজওয়ান প্রান্ত আগলে দলকে সঠিক দিশা দেখিয়েছেন। তবে হাফসেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন মাত্র এক রানের জন্য। তিনি দলীয় ৮৩ রানে তৃতীয় উইকেটে সাজঘরে ফেরেন। তার ৩৯ বলে করা ৪৯ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি চার। শুরুতে ১৬ রানে সাজঘরে ফিরেছেন বাবর আজম (৪)। দলীয় ৫৩ রানে বিদায় নেন ফখর জামানও (২০)। জয়ের কাছে এসে সাজঘরে ফেরেন শান মাসুদ। ১৬ বলে মাত্র ১২ রান করেছেন তিনি। ৩৭ বল হাতে রেখে জেতা পাকিস্তান জয় নিশ্চিত করেছে ১৩.৫ ওভারে। তখন ইফতিখার আহমেদ (৬) ও শাদাব খান (৪) ক্রিজে ছিলেন। ডাচদের হয়ে ২২ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন ব্র্যান্ডন গ্লোভার। একটি নিয়েছেন পল ফন মিকারেন। তার আগে টস জিতে ব্যাট করা নেদারল্যান্ড পাকিস্তানের বোলিং তোপে ৯ উইকেটে থেমেছে ৯১ রানে। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ডাবল ফিগার ছিল কেবল কলিন অ্যাকারম্যান (২৭) ও স্কট অ্যাডওয়ার্ডসের (১৫)। ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন শাদাব খান। ম্যাচসেরাও তিনি। ১৫ রানে দুটি নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। একটি করে নিয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও হারিস রউফ। তাদের মধ্যে রউফের গতিতে আহত হয়েছেন বাস ডি লিড। বল তার হেলমেটে আঘাত করায় পরে দেখা গেছে চোখের নিচে কেটে গেছে লিডের। তার বদলে পরে কনকাশন সাব হিসেবে খেলেন লোগান ফন বিক।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা