May 5, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, August 14th, 2022, 8:46 pm

আসামিদের স্বীকারোক্তি: কক্সবাজারে নারী ও মাদক দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয় পর্যটকদের

কক্সবাজারে পর্যটকদের টার্গেট করা হয়। এরপর মাদক আর নারী দিয়ে তাদের ফাঁদে ফেলা হয়। ফাঁদে ফেলার কৌশল হিসেবে গোপন ক্যামেরায় নারীদের সঙ্গে তাদের বিশেষ ছবি তোলা হয় এবং মাদকসহ তোলা হয় আরও নানা ছবি। পরে পর্যটকদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা দাবি করে। তা না দিলেই নারী ও মাদকের সঙ্গে তোলা ছবি ফাঁস করে দেবে বলে হুমকি দেয়া হয়।

এমনটি স্বীকার করেছেন চার পর্যটককে ব্ল্যাকমেইল করে বন্দি করার দায়ে অভিযুক্ত দুই আসামি। ১৩ আগস্ট ট্যুরিস্ট পুলিশের হাতে আটক হওয়া দুই আসামি পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা স্বীকার করেন।

এমন তথ্য দিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, ৭ আগস্ট কক্সবাজার পর্যটন জোনে কথিত শিউলি কটেজে চার পর্যটককে অপহরণ করে টাকা আদায়ের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের নামে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা হয়। ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই হামিদ মামলাটি তদন্তকাজ পরিচালনা করছে। তদন্তে সেদিনের ঘটনায় বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তারমধ্যে সরাসরি জড়িত দুইজন আসামিকে ১৩ আগস্ট রাতে ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিম গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইসলামপুরের নুরুল আজিমের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২৫) , একই এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে মো. সাকিল (২২)। তাদের ১৩ আগস্ট রাত ১১ টার দিকে সুগন্ধা পয়েন্টের পাশ থেকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। তাদের সঙ্গে আরও ৮/১০ জন জড়িত রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত তারা ট্যুরিস্টদের বিভিন্ন দালালদের মাধ্যমে এই কটেজে এনে নারী, মাদক দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে আসছে। তারা পর্যটকদের আপত্তিকর ছবি ধারণ করে রাখে এবং ভয় ভীতি দেখায় যে কোথাও অভিযোগ দিলে সেই ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে। যার কারণে ভুক্তভোগীরা কেউ অভিযোগ দেয় না।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সঙ্গে জড়িত একটি বড় দালাল সিন্ডিকেটের তথ্য পাওয়া গেছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় মূলত কয়েকটি কটেজে এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়ে আসছিল।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম আরও জানান, তদন্তে যাদেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা, সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। উক্ত ঘটনায় সম্পৃক্ত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

—ইউএনবি