অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের আসামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি এখনো। আসামের রাজ্য বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এর (এএসডিএমএ) হিসেবে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বন্যার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। এ ছাড়া নয়টি জেলা জুড়ে চার লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম পিটিআই। যদিও নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় পানির স্তর কমতে শুরু করেছে তবে পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ। এএসডিএমএ’র তথ্যমতে, বাকসা, বরপেটা, দারং, ধুবড়ি, গোলপাড়া, কামরুপ, লখিমপুর, নলবাড়ি এবং উদালগুড়ি জেলার ৪ লাখ ৭ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে, ১ হাজার ১১৮টি গ্রাম তলিয়ে গেছে এবং প্রায় ৮ হাজার ৪৬৯ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত জেলা জুড়ে ১০১টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করেছে যেখানে ৮১ হাজার ৩৫২জন লোকের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও, পাঁচটি জেলায় ১১৯টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র চালু রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ, রাস্তা, সেতু এবং অন্যান্য অবকাঠামো বন্যার ¯্রােতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দারাং জেলায় অনেক শহরাঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে। আসাম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তেজপুর এবং নেয়ামতিঘাটে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে বাকসা, বরপেটা, সোনিতপুর, ধুবড়ি, কামরূপ, কোকরাঝাড়, নলবাড়ি, সাউথ সালমারা ও উদালগুড়ি জেলায়। করিমগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সাথে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন অমিত শাহ। সূত্র: আনন্দবাজার
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২