অনলাইন ডেস্ক :
দেশ দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক কিছ্ইু এখন আর হাতের নাগালে নেই। তার উপর প্রতিনিয়ত বাড়ছে জীবনযাত্রার ব্যয়। যার প্রতিবাদে গত বুধবার ধর্মঘট করেছেন শ্রীলঙ্কার সরকারি হাসপাতাল, ব্যাংক ও বন্দরের কর্মীরা। কেউ কেউ সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেছেন। কেউ কেউ কালো পোশাক পরে কর্মস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, যে দলে দেশটির শিক্ষকরাও ছিলেন। স্বাধীনতার পর সবচেয়ে ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার এখন ৫০ শতাংশের বেশি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেই। শ্রীলঙ্কার মুদ্রার ব্যাপক দরপতন হয়েছে এবং দেশটিতে মারাত্মক মন্দা চলছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে শ্রীলঙ্কা সরকার ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা পেতে গত বছল সেপ্টেম্বর মাস থেকে চেষ্টা করছে। কিন্তু এজন্য দেশটিকে বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। যে শর্ত পূরণের লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কা সরকার এ বছর আয়কর ৩৬ শতাংশের বেশি বাড়িয়েছে। বিদ্যুতের শুল্কও দুইতৃতীয়াংশ বাড়ানো হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন সেক্টরের শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে একটি ন্যায্য কর ব্যবস্থা চালুর আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিন, শ্রীলঙ্কার বাণিজ্যিক রাজধানী কলম্বোতে প্রায় দুই হাজার বন্দরকর্মী মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় শ্রমিক ইউনিয়নের ওই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিক্ষোভ করেন। দ্য পোর্টস ট্রেড ইউনিয়ন অ্যালায়েন্স এর আহ্বায়ক নিরোশান গোরাকানাগে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা বিক্ষোভ করছি কারণ আমাদের বেঁচে থাকাটা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। ‘‘এই আয়কর বিল অবশ্যই প্রত্যাহার করে নিতে হবে। না হলে এই সরকার কিভাবে আরো বিপদে পড়ে সেটা আমরা দেখে নিবে।” এদিন অনেক সরকারি কার্যালয়ে কর্মীরা কালো পোশাক পরে কাজে গেছেন। হাতে কালো ব্যান্ড পরেছেন এবং ভবনে কালো পতাকা উড়িয়েছেন। ব্যাংক খাতের ট্রেড ইউনিয়নগুলো ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় বুধবার শ্রীলঙ্কার বেশিরভাগ ব্যাংক বন্ধ ছিল। সরকারি হাসপাতালগুলোতে নার্সরা চার ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করেন। চিকিৎসকরাও ধর্মঘটে যোগ দেন। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে গত সপ্তাহে পার্লামন্টে বলেছিলেন, আইএমএফ ঋণের শর্তাবলীর অধীনে সরকারের আয় বাড়াতে কর সংস্কারের প্রয়োজন ছিল।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু