March 29, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, September 14th, 2022, 7:28 pm

আয়াক্সের বিপক্ষে নাটকীয় জয় পেল লিভারপুল

অনলাইন ডেস্ক :

ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপুটে ফুটবল খেলে এবং প্রথমে এগিয়ে যাওয়ার পরও পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় পড়েছিল লিভারপুল। মরিয়া চেষ্টার ফল মিলল শেষ সময়ে গিয়ে। জোয়েল মাতিপের হেডে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। অ্যানফিল্ডে মঙ্গলবার রাতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে লিভারপুল। মোহামেদ সালাহ তাদেরকে এগিয়ে নেওয়ার অল্প সময় পর সমতা টানেন মোহাম্মেদ কুদুস। এরপর অসংখ্য সুযোগ তৈরি করেও জালের দেখা আর পাচ্ছিল না স্বাগতিকরা। বাড়ছিল দুশ্চিন্তা। এরপরই দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান মাতিপ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দুই ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল লিভারপুল। গত সপ্তাহে প্রিমিয়ার লিগে এভারটনের মাঠে গোলশূন্য ড্র করার চার দিন পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নাপোলির বিপক্ষে ৪-১ গোলে হেরেছিল তারা। আর এ মৌসুমে সব মিলিয়ে আট ম্যাচ খেলে এই নিয়ে মাত্র তৃতীয় জয় পেল দলটি। সাম্প্রতিক সময়ের ঘিরে ধরা ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলার তাড়নায় আত্মবিশ্বাসী শুরু করে লিভারপুল। দারুণ প্রতি-আক্রমণে দ্রুত গোলও পেয়ে যায় তারা। প্রতিপক্ষের একটি দুর্বল আক্রমণ সামলে ১৭তম মিনিটে উঁচু করে শট নেন লিভারপুল গোলররক্ষক আলিসন। আয়াক্সের সীমানায় লুইস দিয়াস নিয়ন্ত্রিত হেডে পাশে খুঁজে নেন দিয়োগো জটাকে। দুজনের চ্যালেঞ্জের মুখে ডি-বক্সে তিনি পাস সালাহকে। প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিখুঁত শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মিশরের ফরোয়ার্ড। চাপ ধরে রেখে পরের সাত মিনিটে আরও দুটি ভালো সুযোগ তৈরি করে তারা। তবে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি। ২২তম মিনিটে দিয়াসের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। পাঁচ মিনিট পর স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে দেয় আয়াক্স। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো পাস ফাঁকায় পেয়ে লক্ষ্যের দকে না তাকিয়েই বুলেট গতির শট নেন কুদুস। বল ক্রসবারের লেগে জালে জড়ায়। ৩৫তম মিনিটে আবারও এগিয়ে যেতে পারত লিভারপুল। তবে ভার্জিল ফন ডাইকের হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক রেমকো পাসফির। সাত মিনিট পর ডাবল সেভে আবারও দলকে বাঁচান তিনি। দুরূহ কোণ থেকে ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের প্রথম শট বুক দিয়ে ঠেকানোর পর তারই দ্বিতীয় প্রচেষ্টা কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান পাসফির। বিরতির পরও একইভাবে বল দখলে রেখে আক্রমণ করতে থাকে লিভারপুল। সুযোগও মিলছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে হয়ে যাচ্ছিল গড়বড়। প্রতিপক্ষের প্রবল চাপ সামলে ৭৫তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়ায় আয়াক্স। দুরূহ কোণ থেকে হেড করেন ডালে ব্লিন্ড, বল দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের উদ্দেশ্যে এটাই তাদের একমাত্র প্রচেষ্টা। শেষ ১০ মিনিটে গোলের জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠে লিভারপুল। আয়াক্সের সীমানা থেকে বল বেরই হচ্ছিল না। ৮৮তম মিনিটে তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুর্ভাগ্য, সালাহর শট একজনের পায়ে লেগে গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে গিয়ে পোস্টে লাগে। এরপরই অ্যানফিল্ডে আনন্দের জোয়ার বইয়ে দেওয়া ওই গোল। মাতিপের হেড পাল্টা হেডে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন দুসান তাদিস। তবে তার আগেই বল চলে যায় গোললাইন পেরিয়ে, রেফারি বাজান গোলের বাঁশি। আক্রমণের বিচারে ম্যাচ কতটা একপেশে ছিল তার প্রমাণ মেলে পরিসংখ্যানে। লিভারপুল মোট গোলের উদ্দেশ্যে শট নেয় ২৪টি, যার মধ্যে লক্ষ্যে ১০টি। আর আয়াক্স নিতে পারে সাকুল্যে তিনটি, লক্ষ্যে ওই একটিই। দুই ম্যাচে এক জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠেছে লিভারপুল। আয়াক্স ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে। এক ম্যাচ খেলা নাপোলি ৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। ‘বি’ গ্রুপে বায়ার লেভারকুজেনের মাঠে ২-০ গোলে হেরে গেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। এই গ্রুপের আরেক ম্যাচে পোর্তোকে তাদেরই মাঠে ৪-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ক্লাব ব্রুজ। দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রুজ। লেভারকুজেন ও আতলেতিকোর পয়েন্ট সমান ৩ করে।