অনলাইন ডেস্ক :
ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্য যাওয়ার জন্য অবৈধভাবে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে বুধবার নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৩১ জন মারা গেছে। এ ঘটনাকে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন তার দেখা সবচেয়ে বিপর্যয় বলে মন্তব্য করেছেন।
জেরাল্ড ডারমানিন বলেন, নৌকায় ৩৪ জন ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ৩১টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে যাদের মধ্যে পাঁচজন নারী এবং একটি অল্পবয়সী মেয়ে রয়েছে। দুজনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজনকে এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
অবশ্য আঞ্চলিক সামুদ্রিক কর্তৃপক্ষ যারা উদ্ধার অভিযানের তদারকি করে, তারা পরে বলেছেন যে, ২৭টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে, দুজন বেঁচে আছেন এবং অন্য চারজন নিখোঁজ এবং ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংখ্যার অমিল তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি।
আফগানিস্তান, সুদান, ইরাক, ইরিত্রিয়া বা অন্য সংঘাত ও দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে পালিয়ে আসা লোকেরা ফ্রান্সে আশ্রয় নেয়ার পর আরও ভালো সুযোগ পাওয়ার আশায় বিপজ্জনক যাত্রার ঝুঁকি নিচ্ছে। ২০২০ সালের তুলনায় এই বছর শরণার্থীদের যাত্রা তিনগুণ বেড়েছে এবং শুধুমাত্র বুধবারই ফ্রান্সের জলসীমায় আরও ১০৬ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ফরাসি বন্দর নগরী ক্যালাইসে ডারমানিন সাংবাদিকদের বলেন, ডুবে যাওয়া নৌকার সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে বুধবার চার সন্দেহভাজন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুজনকে পরে আদালতে হাজির করা হয়।
তিনি বলেন, ‘এই লোকদের সমুদ্রে মারা যাওয়া দেখা ফ্রান্স, ইউরোপ সর্বোপরি মানবতার জন্য একটি শোকের দিন।’
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২