তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রবিবার ইংল্যান্ডকে চার উইকেটে হারিয়ে ঐতিহাসিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করেছে বাংলাদেশ।
মেহেদি হাসান মিরাজের দুর্দান্ত বোলিং ইংল্যান্ডকে ১১৭ রানে গুটিয়ে ফেলতে সাহায্য করেছিল। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর ৪৭ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকার ছন্দ, ৭ বল বাকি থাকতেই টাইগারদের জয়ের পথ দেখায়।
এই জয়ের মধ্যদিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ।
একই ভেন্যুতে আগামী মঙ্গলবার সিরিজের বাকি একটি ম্যাচ খেলা বাকি আছে।
শেষ ১৮ বলে বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৬ রান। ১৭ তম ওভারে জফরা আর্চার মাত্র তিন রান দেন এবং আফিফ হোসেনের উইকেট তুলে নেন।
১৯তম ওভারে টানা দুটি ৪ মেরে জয় নিশ্চিত করেন তাসকিন আহমেদ।
ইংল্যান্ডের হয়ে আর্চার ছিলেন সেরা বোলার; তিনি চার ওভারে ১৩ রানে তিন উইকেট নেন।
এর আগে, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ডানহাতি স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ তার ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং ফিগার রেকর্ড করেছেন। তিনি ১২ রানে চার উইকেট নিয়েছেন।
ইংল্যান্ড ৬ ওভার ৩ বলে দুই উইকেট হারিয়ে ৫০ রান করেছিল। এরপর থেকেই তারা নিয়মিতভাবে উইকেট হারায়।
ইনিংসের ২য় ওভারের ২য় বলে তাসকিন আহমেদের বলে ক্যাচ আউট হন ৮ বল খেলে ৫ রান নেয়া ডেভিড ম্যালান। ক্যাচ নেন হাসান মাহমুদ।
ইংল্যান্ড ওপেনার ফিলিপ সল্ট চালিয়ে খেলছিলেন। তবে সপ্তম ওভারে সাকিব আল হাসানের শিকার হন সল্ট। ১৯ বলে ২৫ রান সংগ্রহ করেন সল্ট।
অষ্টম ওভারের শেষ বলে সুন্দর ইয়র্কার দিয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারকে বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ।
এরপরের চার উইকেট একাই নেন মেহেদি।
নবম ওভারে তিনি মঈন আলীকে দিয়ে উইকেট শিকার শুরু করেন।
১৫তম ওভারে মেহেদি লিটন দাসের স্টাম্পিং সহায়তায় স্যাম কারেন ও ক্রিস ওকসের উইকেট নেন। এই ম্যাচে মেহেদির চতুর্থ শিকার ছিলেন ক্রিস জর্ডান।
বাংলাদেশি বোলারদের চাপে সারা ইনিংসে ইংল্যান্ড স্থির হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
ইনিংসের শেষ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের বল মারতে গিয়ে ২৮ বলে ২৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন বেন ডাকেট।
শেষ পর্যন্ত ১০ উইকেটে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান