ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজ ‘এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি’র নাবিকদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বাংলাদেশি নাবিকদের উদ্ধার বা নিরাপদে সরিয়ে নিতে কূটনৈতিক পর্যায়ে ব্যাপক তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাহাজে ২৯ জন নাবিক ছিল। থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানকে হারিয়ে ফেলায় আমাদের ২৮ জন নাবিক আছে। নিহত হাদিসুরের মরদেহ আমাদের সংরক্ষণে আছে। তাঁর মরদেহ দেশে ফেরত আনার বিষয়টি নির্ভর করছে যুদ্ধ পরিস্থিতির ওপর। আমরা হাদিসুরের পরিবারের পাশে দাঁড়াব। পরিবারের জন্য যা যা করণীয় সরকারের পক্ষ থেকে তা করা হবে। তিনি জানান, হাদিসুরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদেরকে সমবেদনা জানিয়েছি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমি, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এবং বিএসসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বির পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্তকর্তা এবং জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঙ্গে কথা বলেছি। নাবিকদের নিরাপত্তাই প্রথম কথা। জাহাজের ক্রুদের আতংকিত হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত না নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তাদেরকে সাহস দেয়ার চেষ্টা করছি। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন আছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,এই মুহূর্তে কূটনৈতিকভাবে যতটুকু কথা বলা দরকার, আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করছি। তিনি জানান, যুদ্ধের মিসাইলে জাহাজটি আক্রান্ত হয়েছে। আমরা যখন জানব কারা আক্রমণ করেছে, তখন তার ব্যাপারে আমরা কথা বলব।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
দেশ সংস্কারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র