অনলাইন ডেস্ক :
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশটিতে সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ১৭ হাজার ২শ ‘দখলদার’ নিহত হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে সংঘাত চলছেই। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টে জানিয়েছে, সেখানকার সংঘাতে ৫৯৭টি ট্যাঙ্ক, ১ হাজার ৭১০টি সামরিক যান, ১২৭টি যুদ্ধবিমান, ১২৯টি হেলিকপ্টার এবং সাতটি জাহাজ হারিয়েছে রাশিয়া। এর আগে গত শুক্রবার মস্কোর পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ইউক্রেন যুদ্ধে ১ হাজার ৩৫১ জন সৈন্যকে হারিয়েছে তারা। এদিকে দেশটির অবরুদ্ধ মারিউপোল শহরে রাশিয়ার হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে পাঁচ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় ওই শহরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে রাশিয়া ক্রমাগত গোলাবর্ষণ করতে থাকায় এসব মরদেহ সরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। খবর আল জাজিরার। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা তেতিয়ানা লোমাকিনা এখন মানবিক করিডোরের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, শহরের এই ধ্বংসযজ্ঞ পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে হয়তো ১০ হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তিনি বলেন, রাশিয়া ক্রমাগত গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাওয়া ১০ দিন ধরে কোনো মরদেহ সরিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না। অপরদিকে রাজধানী কিয়েভে হাজার হাজার বাসিন্দা দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাবওয়ে স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেই দেশটিতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই এসব সাবওয়েতে দিন কাটাচ্ছেন। রাশিয়া দেশটিতে হামলা চালানোর পর থেকেই বিভিন্ন শহরের লোকজন বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করে। যারা অন্য কোনো দেশে পালাতে পারেননি তারা বিভিন্ন সাবওয়ে স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কয়েক কোটি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২