অনলাইন ডেস্ক :
ইউক্রেনের মরিউপোল শহরের একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। গত শনিবার এ হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরীর ওই স্কুলে ৪০০ জন সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। টেলিগ্রামে দেওয়া হালনাগাদ তথ্যে মারিউপোল শহর কাউন্সিল জানিয়েছে, স্কুল ভবনটি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং লোকজন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নারী, শিশু এবং বয়স্ক লোকজন ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে তারা হামলার শিকার হয়েছেন। এ হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া মারিউপোল শহরের সঙ্গে যোগাযোগ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। সে কারণে পুরো পরিস্থিতি এখনো পরিষ্কার নয়। উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ লাখ বাসিন্দার মারিউপোল শহরটি দখল করা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটি আজভ সাগরে ইউক্রেনের কৌশলগত বন্দর এবং ডনবাস অঞ্চলে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর কাছেই অবস্থিত। বর্তমানে মারিউপোল শহরের পরিস্থিতি খুবই নাজুক। প্রায় ৩ লাখ বেসামরিক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে শহর থেকে বের হতে পারেননি। অল্প কিছু বেসামরিক নাগরিক যারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন তারা মারিউপোলের ভয়ানক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে জানিয়েছেন, খাবার সরবরাহ ফুরিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শহরে বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ইউক্রেনীয় আইনপ্রণেতা ইয়ারোস্লাভ ঝেলজনিয়াকের বোনও কয়েকদিন আগে মারিউপোল শহর থেকে পালিয়ে যান। ঝেলজনিয়াক বিবিসিকে বলেন, (রুশ আক্রমণ শুরুর) দুই সপ্তাহ পরে তাদের কোনো খাবার ছিল না। এ ছাড়া দোকানও বন্ধ ছিল। আর তাই সে (ঝেলজনিয়াকের বোন) জানিয়েছিল, চুরির মাধ্যমে কিছু খাবার জোগাড় করা বা না খেয়ে মারা যাওয়া; এই দু’টির মধ্যে একটিকে আমাদের বেছে নিতে হতো। তিনি আরো বলেছেন, মানুষ সবসময় ভয়ে থাকে যে কোনো বোমা, কোনো অস্ত্র বা কোনো বিস্ফোরণ তাদের হত্যা করবে। শহরের রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে মরদেহ। এ ছাড়া বহু বাড়ি-ঘর ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আগুনে। এমনকি ভেতরে আশ্রিত মানুষসহ অনেক বোমা শেল্টার বা আশ্রয়কেন্দ্রও ধ্বংস হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু