November 17, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, March 19th, 2023, 8:10 pm

ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানির চুক্তির মেয়াদ বাড়ছে

অনলাইন ডেস্ক :

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও ইউক্রেনকে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে কয়েক মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে এটি কতদিন স্থায়ী হবে তা স্পষ্ট নয়। কারণ ইউক্রেন ১২০ দিনের জন্য চাপ দিচ্ছে আর রাশিয়া ৬০ দিন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। রাশিয়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করা না হলে চুক্তিটি আর নবায়ন করা হবে না। খবর বিবিসির। বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের আশঙ্কায় জাতিসংঘ ও তুরস্ক গত জুলাইয়ে রপ্তানি চুক্তি বাস্তবায়নে সহায়তা করেছিল। বিশ্বের শীর্ষ শস্য উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে ইউক্রেন অন্যতম একটি দেশ। কিন্তু গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর রুশ যুদ্ধজাহাজ কৃষ্ণ সাগর বন্দরে ইউক্রেনের জাহাজের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছিল। ইয়েমেনের মতো যে দেশগুলো খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সেসব দেশ এই সরবরাহের ওপর খুব বেশি নির্ভর করে। আগের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান শনিবার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেন। এরদোগান বলেন, ‘এই চুক্তিটি বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি রাশিয়া ও ইউক্রেনকে ধন্যবাদ জানাই চুক্তিটি নতুনভাবে সম্প্রসারণে তাদের প্রচেষ্টার জন্য এবং সেই সাথে জাতিসংঘের মহাসচিবকেও’। তবে এরদোগান বা জাতিসংঘ কেউই স্পষ্ট করেনি যে, এটি কতদিন স্থায়ী হবে। ইউক্রেন চেয়েছিল যে এটি ১২০ দিনের জন্য বাড়ানো হোক। কিন্তু রাশিয়া বলেছে যে তারা ৬০ দিনের জন্য চুক্তিটি নবায়ন করতে ইচ্ছুক। জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া গত শুক্রবার বলেছেন ইইউ, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি চুক্তিটি বহাল রাখতে চায় তবে রাশিয়ার কৃষি খাতের ওপর থেকে যে কোনো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য দুই মাস সময় রয়েছে। মস্কো চায় রাশিয়ার উৎপাদনকারীরা বিশ্বের অন্যান্য দেশে আরও বেশি খাদ্য ও সার রপ্তানি করুক। কিন্তু পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো তাদের বাধা দিচ্ছে। যদিও খাদ্য ও সার রপ্তানিকে নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। রাশিয়া বলছে যে অর্থ লেনদেন, বিমাকারী ও জাহাজের উপর নিষেধাজ্ঞা রপ্তানিকে কঠিন করে তুলেছে। ক্রিমিয়ায় নৌবহরে হামলার অভিযোগ এনে রাশিয়া গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি থেকে অল্প কয়েক দিনের জন্য নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু কয়েকদিন পরে আবার চুক্তিতে ফিরে আসে।