April 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, December 5th, 2021, 8:22 pm

ইউক্রেন নিয়ে বাইডেন-পুতিন ভার্চুয়াল বৈঠক মঙ্গলবার

অনলাইন ডেস্ক :

ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা উত্তরোত্তর বাড়ার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রাশিয়ার ভøাদিমির পুতিন আগামী মঙ্গলবার ভিডিও কলে কথা বলবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। রাশিয়া ইউক্রেনে ‘বড় ধরনের’ হামলা চালাতে যাচ্ছে বলে আমেরিকার হাতে প্রমাণ আছে- মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন এমন বক্তব্য দেওয়ার পরই এই বৈঠকের খবর জানা গেলো। তবে ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, পুতিন ইউক্রেন দখলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না তা এখনো স্পষ্ট না। রাশিয়া এমন কোনো ইচ্ছে পোষণের কথা অস্বীকার করেছে। তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে নিজস্ব বাহিনী গড়ে তোলার অভিযোগ তুলেছে। গত শনিবার রাতে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব জেন সাকি বলেন, রুশ প্রেসিডেন্টের সাথে এই ভিডিও বৈঠকে বাইডেন ‘ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনাবাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে মার্কিন উদ্বেগ তুলে ধরবেন এবং ইউক্রেন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখ-তার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করবেন’। ইউক্রেন বলছে, রাশিয়া সাঁজোয়া যান ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধ সরঞ্জামসহ ৯৪ হাজার সৈন্য সমাবেশ করেছে তাদের সীমান্তে। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়া দখল করে নেয়ার পর দেশটির সীমান্তে এটাই রাশিয়ার সর্ববৃহৎ সৈন্য সমাবেশের ঘটনা। গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেযনিকভ বলেন, জানুয়ারির শেষ নাগাদ হয়তো একটি আক্রমণের পরিকল্পনা করছে মস্কো। রাশিয়ার এই সৈন্য সমাবেশ নিয়ে এরইমধ্যে রুশ-মার্কিন সম্পর্কে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। গত শুক্রবার বাইডেন সতর্ক করে দিয়ে বলেন, পুতিন যা করবেন বলে লোকে আশঙ্কা করছে, তা করা ‘খুব, খুব কঠিন’ করে তুলবেন তিনি। রাশিয়া যদি আগ্রাসী আক্রমণে যায় তাহলে দেশটির উপর অর্থনৈতিক অবরোধ করার ব্যাপারে আলোচনা সেরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা। ইউক্রেন নেটো সদস্য না হলেও এর সদস্যদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে দেশটির এবং দেশটি পশ্চিমা যুদ্ধ সরঞ্জামও পেয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন জ্যাভলিন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র। রুশ কর্মকর্তারা কোন দখলের পরিকল্পনার অভিযোগ নাকচ করে বলছেন, সীমান্তে সেনাবাহিনীকে জড়ো করা হয়েছে সামরিক মহড়ার জন্য। মস্কোর অভিযোগ, নেটো ক্রাইমিয়ার কাছে কৃষ্ণ সাগরে মহড়া চালিয়ে উসকানিমূলক আচরণ করেছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনও তাদের সীমান্তে সোয়া লক্ষ্য সৈন্য সমাবেশ করেছে। এই দাবির ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে কিয়েভ। এই সপ্তাহে ব্রিটেনের সর্বোচ্চ সামরিক কর্মকর্তা বলেন, ওই এলাকায় সম্ভাব্য একটি যুদ্ধের ব্যাপারে ‘আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে’। জেনারেল স্যার নিক কার্টার বলেন, তিনি ‘স্পষ্টভাবে আশা করেন’ রাশিয়ার সাথে সেখানে কোনো যুদ্ধ হবে না। কিন্তু নেটোকে কার্যত প্রস্তুত থাকতে হবে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যেকার উত্তেজনা নতুন কিছু নয়। ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়া উপত্যকা দখল করে নেয়। এরপর ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের একটি দলকেও সমর্থন দিতে শুরু করে রুশ কর্তৃপক্ষ। অতি সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রেসিডেন্ট পুতিনের একজন ক্ষমতাধর বন্ধুর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন এবং ইউক্রেনে তিনটি রুশপন্থী টিভি স্টেশনের সম্প্রচার বন্ধ করে দেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও পুতিন তাদের সর্বশেষ মুখোমুখি বৈঠকটি করেছিল গত জুন মাসে, জেনেভাতে। রয়টার্সের খবর অনুযায়ী দুই প্রেসিডেন্ট সর্বশেষ টেলিফোনে কথা বলেছেন গত ৯ জুলাই। সূত্র: বিবিসি