April 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, July 20th, 2022, 8:29 pm

ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ আরও কমানোর হুঁশিয়ারি পুতিনের

অনলাইন ডেস্ক :

ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ আরও কমানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইরানের রাজধানী তেহরানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বুধবার (২০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, পশ্চিমাদের নিজের দোষেই ইউরোপীয় গ্রাহকদের কাছে রুশ গ্যাসের প্রবাহ কমে গেছে। এটি আরও কমে যেতে পারে।রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, একটি টারবাইন দ্রুত প্রতিস্থাপন করা না হলে নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনের মাধ্যমে জার্মানিতে পাম্প করা গ্যাসের পরিমাণ দিনে ৬০ মিলিয়ন থেকে ৩০ মিলিয়ন ঘনমিটার বা সক্ষমতার প্রায় এক পঞ্চমাংশে নেমে আসবে।পশ্চিমাদের প্রতি সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে রুশ তেলের দাম কমিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা দুনিয়াজুড়ে তেলের বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। এতে বিশ্বজুড়ে তেলের দাম আরও বেড়ে যাবে।বাজারে রুশ তেলের সরবরাহের পরিমাণ সীমিত করা এবং রুশ তেলের দামকে সীমাবদ্ধ করে দেওয়া সংক্রান্ত আলোচনাকে উদ্ভট বলে আখ্যায়িত করেন পুতিন। তিনি বলেন, এসবের ফলাফল হবে তেলের দাম বৃদ্ধি। দাম হবে আকাশচুম্বী।এর আগে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের তরফে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমানোর কথা জানানো হয়। গ্যাজপ্রম জানিয়েছে, ইউরোপের অন্তত একটি বৃহৎ গ্রাহকের সঙ্গে এমন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যা চুক্তি পূরণের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।গত ১৪ জুলাই গ্যাজপ্রম থেকে পাঠানো এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি রয়টার্সের হাতে এসেছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়ার গ্যাস রফতানিতে একচেটিয়া কর্তৃত্ব রয়েছে গ্যাজপ্রমের। তবে পরিস্থিতির কারণে গত ১৪ জুন থেকে সরবরাহের বাধ্যবাধকতা পূরণ করা যায়নি। আর এই পরিস্থিতি গ্যাজপ্রমের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এই অভিযানকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে পুতিন ও তার ঘনিষ্ঠজনদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। গত ১৪ জুন প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ স্বীকার করেছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ধকল কাটানো সহজ নয়। তিনি বলেন, পশ্চিমাদের যেসব পদক্ষেপ রাশিয়ার অর্থনীতিকে বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সেগুলো ছিল কঠিন। তবে তাদের এসব পদক্ষেপ মস্কোকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ দেশগুলোর দিকে আরও ঠেলে দিচ্ছে।