March 28, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, September 7th, 2022, 8:24 pm

ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা মস্কোর

অনলাইন ডেস্ক :

পশ্চিমা দেশগুলোর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের মূল পাইপলাইন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে মস্কো।অন্যদিকে ইউরোপে চলমান জ্বালানি সংকটের জন্য পশ্চিমাদেরই দায়ী করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। চীন-ভারতসহ কয়েকটি ‘বন্ধুরাষ্ট্রের’ সঙ্গে বড় পরিসরে শুরু হওয়া যৌথ সামরিক মহড়া পরিদর্শন করেছেন পুতিন।ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জ্বালানির দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। গত সোমবার নেদারল্যান্ডসে গ্যাসের দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে দেখা যায়। যুক্তরাজ্যে গ্যাসের দাম বাড়ে ৩৫ শতাংশ। শনিবার চেক রিপাবলিকের প্রাগে সরকারের নীতির কারণে জ¦ালানীর সংকটের বিরুদ্ধে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছে।গত ৩১ আগস্ট রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি গাজপ্রম জানায়, তারা ওই পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ পুরোদমে বন্ধ করে দিচ্ছে। যদিও প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল, মেরামতের পর ২ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হবে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের মুখপাত্র ত্রিমাত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, ইউরোপের নিষেধজ্ঞা ছাড়া গ্যাস সরবরাহে সমস্যার নেপথ্যে আর অন্য কোনো কারণ নেই।’ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, জ্বালানি সরবরাহকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া।তবে ইউরোপের জ্বালানি-সংকটের জন্য রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেছে তুরষ্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান বলেন, পুতিনের প্রতি ইউরোপের আচরণ, তাদের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা পুতিনকে গ্যাস বন্ধ করতে বাধ্য করেছে। পশ্চিমারা সবরকম অস্ত্র ইউরোপের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। তেমনি রাশিয়াও তাদের অস্ত্র গ্যাসকে ব্যবহার করছে।১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া চীন-ভারতসহ কয়েকটি ‘বন্ধুরাষ্ট্রের’ সঙ্গে বড় পরিসরে যৌথ সামরিক মহড়া পরিদর্শন করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এ যৌথ সামরিক মহড়ায় রাশিয়ার সঙ্গে চীন, ভারত, লাওস, মঙ্গোলিয়া, সিরিয়া ছাড়াও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশের ৫০ হাজারের বেশি সেনা ও ৫ হাজারের বেশি সামরিক ইউনিট যুক্ত রয়েছে।মধ্যপ্রাচ্য, লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গেও রাশিয়ার সম্পর্ক জোরদার, মিত্রদেশগুলোর সাথে সামরিক মহড়াকে নতুন রুশ বিশ্ব গড়ে তোলার ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছেন আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।সূত্র: ডয়চে ভেলে