নিজস্ব প্রতিবেদক:
সামনে ইতিহাস গড়ার হাতছানি, কিন্তু প্রতিপক্ষ যে দক্ষিণ কোরিয়ার জুটি। তাদের একজন আবার রিও দে জেনেইরো অলিম্পিকের সোনাজয়ী। তবে মোহাম্মদ হাকিম আহমেদ রুবেল ও দিয়া সিদ্দিকী ভড়কে যাচ্ছেন না। অনুভব করছেন না কোনো চাপ। এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপসে দেশের হয়ে প্রথম সোনা জয়ের মিশনে নামতে চান নির্ভার থেকে। আর্মি স্টেডিয়ামে শুক্রবার রিকার্ভ মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশের হয়ে লড়বেন রুবেল-দিয়া জুটি। দক্ষিণ কোরিয়ার জুটি লি সিয়ুং উন-রিও সু জং। ২০১৬ সালে রিও দে জেনেইরো অলিম্পিকে রিকার্ভ পুরুষ দলগত ইভেন্টে সোনা জিতেছিলেন লি সিয়ুং উন। ওয়ার্ল্ড আর্চারি র্যাঙ্কিংয়ে ৩৭তম স্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়ার এই আর্চার। রিও সু জং অবশ্য র্যাঙ্কিংয়ে নাম ওঠাতে পারেননি এখনও। র্যাংকিংয়ে একশ’র মধ্যেও নেই রুবেল কিংবা দিয়া। রুবেল ১০৪তম, দিয়া ১২১তম। গত মে মাসে সুইজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড কাপে (স্টেজ-২) রোমান সানার সঙ্গে জুটি গড়ে রুপা জিতেছিলেন দিয়া। এবার তিনি রুবেলের সঙ্গে করতে চান বাজিমাত। “মানসিকভাবে প্রস্তুত আছি। আমরা আমাদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব। কোচদের অনুপ্রেরণায় আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে। আমার বিশ্বাস, নিজের সেরাটা দিতে পারলে কোরিয়াকে হারানো সম্ভব।” “মানসিকভাবে সব সময় প্রস্তুত থাকতে হয়, শান্ত থাকতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা বেশি নার্ভাস হওয়া যায় না। সাধারণত আমাদের গেমের সময় সবারই একটু নার্ভাসনেস কাজ করে, কারো বেশি কারো কম। আমার আর রুবেল ভাই দু’জনেরই দুজনের ওপর বিশ্বাস আছে। আমরা যদি দুজনের বিশ্বাস আর বোঝাপড়া ধরে রাখতে পারি, টিম ওয়ার্ক ঠিক থাকে, তাহলে হয়তো ভালো কিছুই হবে।” ২০০৩ সাল থেকে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপসে খেলছে বাংলাদেশ। এবারের আসরে প্রথম পদক পাওয়া নিশ্চিত হয় রুবেল-দিয়া জুটির ফাইনালে ওঠার মধ্য দিয়েই। অবশ্য এরইমধ্যে রিকার্ভ মহিলা দলগত ও পুরুষ দলগত বিভাগ থেকে ব্রোঞ্জ এসেছে। কোরিয়ার কাছে হারলেও এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ প্রথম রুপা জয়ের স্বাদ পাবে। রুবেল অবশ্য এতকিছু ভেবে চাপ নিতে চাইছেন না এই ১৯ বছর বয়সী আর্চার। “আমি ওরকমভাবে কোনো চাপ নিচ্ছি না। কারণ নিজেদের মধ্যেই খেলবো। আর এমন না যে, কোরিয়ার সঙ্গে প্রথম ম্যাচ। আমরা জানি, তারা অনেক ভালো খেলোয়াড়, তবে আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।” “প্রতিটা গেমের পেছনে টিম ওয়ার্কের প্রয়োজন। যেটা একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আরেকটা খেলোয়াড়ের মত বিনিময়, যাচাই-বাছাই বা কম্বিনেশন…সেটা ঠিক হওয়া উচিৎ। দিয়া আর আমি যখন প্রতিটা শ্যুট করি, নিজেরা কথা বলে নিই। বলি যে, দেখো খেলাটা ওদের সাথে হচ্ছে না। মনে করো তোমার আর আমার মাঝে হচ্ছে। এরকম করে নিজেদের মাঝে একটা অনুশীলনের মতো করেই খেলব।”
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা