অনলাইন ডেস্ক :
প্রিমিয়ার হকি লিগে মোহামেডান-মেরিনারের গুরুত্বপূর্ণ খেলায় মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন মোহামেডানের অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি। মেরিনারের ভারতীয় খেলোয়াড় সুদীপের স্টিকের আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছেন জিমি। শনিবার হকি স্টেডিয়ামে খেলা শেষে জিমিকে রাজধানীর কাকরাইলে ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিমির নাকে সেলাই নিতে গিয়ে জানতে পারেন ঠোঁটের ভেতরে আঘাত রয়েছে। জিমি জানালেন স্টিকের আঘাতে ঠোঁট কেটে গিয়েছে আমি জানতাম না। রক্ত বেরিয়েছিল। সেই অবস্থায় খেলেছি। নাকে সেলাইয়ের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলাম, সেখানে ঠোঁটের সেলাই করতে হয়েছে ৩টা।’
জিমি বলেন, ‘নাকে ঠোঁটে দুই জায়গাতেই সেলাই পড়েছে।’ আঘাত পাওয়ার পর জিমি প্রায় ৮/১০ মিনিট খেলার বাইরে ছিলেন। নাকে আঘাত পেয়ে জিমি তার খেলাটা মেলে ধরতে পারেননি। জিমি দেশের হকির ১ নম্বর তারকা। আক্রমণভাগে জিমির মতো আর কোনো খেলোয়াড় নেই দেশে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস থেকে খেলোয়াড়ও এসেছেন খেলতে। কিন্তু দিন শেষে জিমি ছিলেন আলাদা। তার খেলার নৈপুণ্যের সঙ্গে অন্য কারো সঙ্গে মিলেও না। প্রতিপক্ষ দলগুলোর প্রধান টার্গেট জিমিকে নিয়ে। মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচ হলে প্রতিপক্ষ দলের কোচের পরিকল্পনার ছক, জিমিকে ঠেকাও। জিমিকে নিস্ক্রিয় করতে পারলে ম্যাচের অর্ধেক জয় নিশ্চিত।
মোহামেডানের বিপক্ষে মেরিনারের টার্গেট ছিল জিমিকে মাঠ থেকে তুলতে পারলে ম্যাচ সহজ হয়ে যাবে। ভারতীয় নতুন খেলোয়াড় সুদীপ, তার স্টিকের আঘাতে জিমি মাঠের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হলেন। পুশ করতে গিয়ে নাকি স্টিক উঠে গিয়ে জিমির নাকে আঘাত করেছে। এটাই যদি হয় তাহলে এমন ঘটনা প্রতি ম্যাচেই হওয়ার কথা। আম্পায়ার সুদীপকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন। মোহামেডানের দাবি আম্পায়ার রিভিউতে দেখে নিতে পারতেন ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত কিছু ছিল কিনা। হকির কিংবদন্তি সোনা মিয়ার ছেলে জিমির মনোবল খুব বেশি। রক্তঝরিয়ে মাঠ থেকে সরিয়ে দিলেই জিমি মাথা নিচু করে রাখার ছেলে না। মেডিকেল সেবা নিয়ে পুনরায় মাঠে ফিরেছিলেন।
কিন্তু নাকের ভেতরে ফেটে যাওয়া সেখানে প্রচন্ড ব্যথা, ঠোঁট কেটে যাওয়ার যন্ত্রণা নিয়ে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারছিলেন না। তার পরও লড়াইয়ে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। গোলও করেছেন জিমি। কিন্তু ভাগ্য খারাপ জিমির মোহামেডান ৩-২ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ে। হকির মাঠে খেলোয়াড়রা নিরাপদ না। রক্তাক্ত হচ্ছেন খেলোয়াড়রা। আম্পায়াররা অসহায় হয়ে থাকেন। বিদেশ থেকে মানহীন আম্পায়ার এনে খেলা চালাচ্ছে ফেডারেশন। ফাউল করল একজন অথচ কার্ড দেখিয়ে জিমিকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিলেন ওমানের আম্পায়ার হোসেন হোসানি। বিদেশি আম্পায়ারদের নানা আচরণ দেখে হতবাক সাবেক তারকা আম্পায়ার আসলাম বেলিম। আম্পায়াররা কখন কী সিদ্ধান্ত নেবেন নিজেরাই বুঝতে পারছেন না।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা