November 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, June 30th, 2022, 7:44 pm

ইন্টারে ফিরে উচ্ছ্বসিত লুকাকু

অনলাইন ডেস্ক :

অনেক অর্থ খরচ করে রোমেলু লুকাকুকে দলে টেনেছিল চেলসি। বেলজিয়ান তারকাও সেখানে গিয়েছিলেন প্রত্যাশার ডালি সাজিয়ে। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই কোনো এক অজানা কারণে ক্লাব-খেলোয়াড়ের সম্পর্কে ধরে ফাটল। খুব করে ইন্টার মিলানে ফিরতে চাচ্ছিলেন এই স্ট্রাইকার। সেই চাওয়া পূরণ হওয়ায় দারুণ খুশি লুকাকু। চেলসি থেকে এক বছরের জন্য ধারে সেরি আর দলটিতে ফিরেছেন লুকাকু। পুরনো ঠিকানায় ফিরে উচ্ছ্বাসভরা কণ্ঠে তিনি বললেন, অনেক দিন পর বাড়ি ফেরার মতো অনুভূতি হচ্ছে তার। উভয় ক্লাব তাদের ওয়েবসাইটে বুধবার রাতে আলাদা বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংবাদমাধ্যমের খবর, লুকাকুকে ধারে দলে টানতে ৬৯ লাখ পাউন্ড খরচ হয়েছে ইন্টারের। ২০২০-২১ মৌসুমে ইন্টারের সেরি আ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন লুকাকু। এরপর গত গ্রীষ্মের দলবদলে ক্লাব রেকর্ড ট্রান্সফার ফি ৯ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে তাকে দলে টানে লন্ডনের দলটি। শুরুটা ভালো হলেও কিছুদিন পরই ফিকে হয়ে পড়ে তার পারফরম্যান্স। টমাস টুখেলের শুরুর একাদশে জায়গাও হারান তিনি। গত ডিসেম্বরে একটি সাক্ষাৎকারে লুকাকু ‘চেলসিতে ভালো নেই’ বলে মন্তব্য করলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে যায়। এরপর থেকে চেলসি একাদশে আরও অনিয়মিত হয়ে পড়েন লুকাকু। ২০২১-২২ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৪ ম্যাচ খেলে গোল করেছিলেন ১৫টি। ধারণা করা হচ্ছে, ইন্টারে যোগ দিতে বেতন কমাতেও রাজি ছিলেন লুকাকু। কিন্তু ইটালিয়ান ক্লাবটির অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালো না থাকায় তাদের পক্ষে লুকাকুকে স্থায়ীভাবে কিনে নেওয়া বা তার বেতন দেওয়াটা অসম্ভব ছিল। তবে অনিশ্চয়তা কেটে যেতে শুরু করে লুকাকুকে ক্লাবে ফেরানোর চেষ্টায় গত সপ্তাহে ইন্টারের সভাপতি স্টিভেন ঝাং ব্যক্তিগতভাবে আলোচনায় যোগ দেওয়ার পর। শেষ পর্যন্ত লুকাকুকে ফেরাতে পেরে খুব খুশি তিনি। “আমি খুব খুশি। বিগ বস ফিরে এসেছে। এটা দেজা ভ্যু-এর মতো, সে আবার এখানে ফিরে এসেছে।” ইন্টারে ফিরে ক্লাবের টুইটারে ভিডিও বার্তায় লুকাকু বলেন, “বন্ধুরা আমি ফিরে এসেছি।” প্রথম মেয়াদে ইন্টারের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৯৫ ম্যাচে ৬৪ গোল করেছিলেন লুকাকু। ইন্টার টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লুকাকু বলেন, ক্লাব ছাড়ার পরও গত মৌসুমে কোচ সিমোনে ইনজাগির সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছিলেন তিনি। তার আশা, এই মেয়াদে মিলানের ক্লাবটির হয়ে আরও ভালো কিছু উপহার দিতে পারবেন। “ইন্টার আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে এবং আমি এখন আগের চেয়ে আরও ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী।” “আমি ইংল্যান্ডে যাওয়ার পরও (ইতালিতে) আমার বাড়িটি ছাড়িনি। এতেই পরিষ্কার যে এখানে ফিরে আসতে পেরে আমি কতটা খুশি।”