অনলাইন ডেস্ক :
কাঠের নৌকায় করে সাগর পাড়ি দিয়ে ইন্দোনেশিয়া পৌঁছেছেন ১৩০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী। বৃহস্পতিবার (১লা ফেব্রুয়ারি) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে আচেহ প্রদেশের উপকূলে পৌঁছান তারা। স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্যমতে, গত বছরের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে প্রায় দুই হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থী ইন্দোনেশিয়ায় এসেছেন। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, প্রতি বছর নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে যখন সাগর শান্ত থাকে, তখন মিয়ানমারের নির্যাতিত সংখ্যালঘু মুসলিমরা কাঠের নৌকায় করে প্রতিবেশী থাইল্যান্ড এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
ইন্দোনেশিয়ার ইউএনএইচসিআর-এর সুরক্ষা সহযোগী ফয়সাল রহমান বলেছেন, বৃহস্পতিবার (১লা ফেব্রুয়ারি) সকালে ১৩০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা পূর্ব আচেহ এলাকায় পৌঁছেছেন। রয়টার্স বলছে, মিয়ানমারের নির্যাতিত ধর্মীয় সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা উপকূলে অবতরণ করার সময় আচেহের স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যান এবং শত্রুতার সম্মুখীন হয়েছেন। গত কয়েক বছর ধরে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ছেড়ে যাচ্ছে।
নিজেদের দেশেই তাদেরকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং তাদের সাধারণত দক্ষিণ এশিয়া থেকে মিয়ানমারে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নাগরিকত্ব হারানোর পাশাপাশি মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা জাতিগত নির্যাতনেরও শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া জাতিসংঘের ১৯৫১ সালের শরণার্থী চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। কিন্তু উপকূলে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে দেশটির। ২০১৭ সালে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অভিযানের পর দেশটি থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু