অনলাইন ডেস্ক :
ইন্দোনেশিয়ায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মারাত্মক কিডনি জটিলতায় (একেআই) ৯৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা বাড়ায় বিশেষজ্ঞদের একটি দল তদন্ত শুরু করেছে। বুধবার (১৯ অক্টোবর) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহরিল বুধবার (১৯ অক্টোবর) জানান, ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মকর্তারা একেআইয়ের ২০৬টি ঘটনা শনাক্ত এবং ৯৯টি মৃত্যু রেকর্ড করেছে। এর আগে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সিতি নাদিয়া তারমিজি জানিয়েছিলেন, ইন্দোনেশিয়ার শিশুদের মধ্যে একেআইয়ের ১৮৯টি ঘটনা শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিকাংশ শিশুরই বয়স পাঁচ বছরের নিচে এবং জানুয়ারি থেকে ৭৪ শিশুর মৃত্যু রেকর্ড করেছে। “এখনও কোনো কারণ শনাক্ত হয়নি, আমরা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি,” বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন তিনি। সম্প্রতি গাম্বিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, জ¦রের চিকিৎসায় স্থানীয়ভাবে বিক্রি হওয়া প্যারাসিটামল সিরাপ ব্যবহার করার পর একেআইতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৭০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে; এবার ইন্দোনেশিয়াও একই জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যুর কথা জানাল। গাম্বিয়ার ওষুধের দোকানগুলো পাওয়া চারটি কফ সিরাপের মধ্যে অতিরিক্ত মাত্রায় ডাইইথিলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকল পাওয়া যায়। সিরাপগুলো ভারতীয় ওষুধ কোম্পানি মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি। ইন্দোনেশিয়ার খাদ্য ও ওষুধ সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের দেশে ভারতীয় কোম্পানিটির তৈরি ওষুধগুলো পাওয়া যায় না, কিন্তু তারপরও শিশুদের জন্য তৈরি করা সব ধরনের সিরাপে উপাদান হিসেবে ডাইইথিলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত সপ্তাহে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, শিশুদের মধ্যে একেআইয়ের ঘটনা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া তদন্ত করতে বিশেষজ্ঞদের একটি দল গঠন করা হয়েছে; এই দলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ইন্দোনেশিয়ান পিডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধিরা থাকবেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডব্লিউএইচওয়ের যে বিশেষজ্ঞরা গাম্বিয়ার ঘটনাগুলো তদন্ত করেছেন তারা তাদের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার একটি চিঠি ইস্যু করেছে যেটি রয়টার্স দেখেছে, সেখানে মন্ত্রণালয়টি টক্সিকোলজি পরীক্ষা যেন করা যেতে পারে তার জন্য পরিবারগুলো তাদের শিশুদের যেসব ওষুধ দিয়েছে সেগুলোর সব সংগ্রহের জন্য হাসপাতালগুলোকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই চিঠিতে মন্ত্রণালয়টি বলেছে, পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত ফার্মেসিগুলির উচিত কিছুদিনের জন্য সিরাপ ধরনের ওষুধের বিক্রি বন্ধ রাখা। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়টি বুধবার (১৯ অক্টোবর) আরও বিস্তারিত তথ্য জানাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২