অনলাইন ডেস্ক :
পশ্চিম ইয়েমেনের বন্দর নগরী ও ছোট শহরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের যৌথ বিমান হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরও ১৪ জন। সোমবার ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের একজন মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছন। যৌথবাহিনী বলেছে, বাণিজ্যিক জাহাজ রক্ষা করতে এ হামলা চালানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের। হুথি পরিচালিত টিভি চ্যানেল আল মাসিরাহের খবরে জানা যায়, প্রধান বন্দর শহর হোদেইদাহ ও রাস ইসা বন্দরসহ কমপক্ষে ১৭টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য জোট এবং অন্যান্য নৌবাহিনী বারবার হুথিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তারপরও বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত শিপিং লেনের বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে আক্রমণের হার বাড়িয়েছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। গত বুধবার এডেন বন্দরে হামলায় বার্বাডোস-পতাকাবাহী, গ্রিক-পরিচালিত ট্রু কনফিডেন্সে হামলা চালায় হুথিরা। এতে তিন ক্রু নিহত হন। মালবাহী জাহাজ রুবিমার ডুবে যাওয়ার দুই সপ্তাহ পরে হামলাটি চালানো হয়েছিল।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে চলাচল করা বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে হুথিরা। আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই হামলা চলবে বলেও হুমকি দিয়েছে তারা। হুথিদের হামলার ভয়ে এডেন উপসাগর এবং লোহিত সাগর থেকে সুয়েজ খালের বিপজ্জনক পথ এড়াতে হয় বহু জাহাজ এখন আফ্রিকার কেপ অফ গুড হোপের দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল পথ বেছে নিচ্ছে। এতে শিপিং খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু