জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থেকে দেশে সামাজিক নিরাপত্তাসহ বড় কিছু প্রকল্পের সফল সমাপ্তি করলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে ইশতেহারে ঘোষিত অঙ্গীকার পুরো বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বিশেষ করে দুর্নীতি প্রতিরোধ, সন্ত্রাস দমন এবং মাদক নির্মুলে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আর মানবাধিকার সুশাসন প্রশ্নে এর সঙ্গে জড়িতরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন তারা ইশতেহারে ঘোষিত অঙ্গিকার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছেন। সারাদেশের ন্যায় গোটা সিলেট অঞ্চলে নির্বাচনী ইশতেহারের ৬৫ ভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে বলে সূধীজনের অভিমত। তবে বিরুধীদলীয় রাজনৈতিক মতামতকে উপেক্ষা ও সুষ্ঠু গনতন্ত্রের চর্চা পুরো সিলেট বিভাগের প্রতিটি জনপদে উপেক্ষিত ।
২০১৭ সালে আধুনিক সিলেট গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা তুলে ধরেছিলেন জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ মিশনের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পক্ষে সিলেটের উন্নয়ন কার্যক্রম তদারকির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ড. মোমেন সিলেটের যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোসহ সার্বিক উন্নয়নে নিজের প্রচেষ্টা ও উদ্যোগের বিষয়টি খোলামেলাভাবে তুলে ধরেছিলেন। ডিজিটাল সিলেট সিটি, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন, সিলেট হাইটেক পার্ক নির্মাণ, নগরীর ছড়া-খাল উদ্ধার ও সংরক্ষণ, সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নসহ আইনশৃংখলাসহ সিলেটের উন্নয়নে সরকারের গৃহিত বিভিন্ন প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা ও নিজের পরিকল্পনাধীন বিভিন্ন বিষয় তিনি উপস্থাপন করেন। সিলেট নগরীকে কেন্দ্র করে যানজট নিরসনে দু’টি লিংকরোড স্থাপনে নিজের পরিকল্পনার কথাও জানান ড. মোমেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ড. এ কে আবদুল মোমেন সিলেট নগরীকে ডিজিটাল নগরী হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার পর সেই আলোকে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেন। ইতোমধ্যে সিলেটকে ফ্রি ওয়াইফাই নগরী হিসেবে পরিণত করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে পুরো নগরী। উদ্যোগ নেয়া হয় সিলেটকে দেশের প্রথম তারবিহীন নগরী গড়ার। ইতোমধ্যে কয়েকটি রাস্তার উভয় পাশে ঝুলানো সবধরণের তার ও খুঁটি অপসারণ করে মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হয়েছে।
গত ৫ বছরে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে চেষ্টা চলছে সিলেটকে বদলে দেয়ার।
‘উন্নত আলোকিত সিলেট’ গড়তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রচেষ্টায় চলছে একের পর এক প্রকল্পের কাজ। ইতোমধ্যে কিছু প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। কিছু আছে বাস্তবায়াধীন আর কিছু প্রকল্প আছে শুরুর অপেক্ষায়। চলমান ও অপেক্ষমান প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন হলে গোটা সিলেট বদলে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
সিলেটের উন্নয়নে গৃহিত মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ‘সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম-২’ (বিভাগীয় আউটার স্টেডিয়াম), ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক, সিলেট-ঢাকা ছয় লেন মহাসড়ক, সিলেট-তামাবিল চার লেন মহাসড়ক, সিলেট মেরিন একাডেমি, শেখ রাসেল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও সিলেট টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, ডিজিটাল নগরীর প্রকল্প, ১১৪টি নদী খনন ও তীর সংরক্ষণ, বঙ্গবন্ধু মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স, নতুন বিসিক শিল্প নগরী এবং সড়ক ও ড্রেন সম্প্রসারণ, সৌন্দর্য্যবর্ধন ও আধুনিকায়নে ১২শ’ কোটি টাকার প্রকল্প।
উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান এবং বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে উদ্যোগ নেয়া হয় নতুন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষাক্ষেত্রে আরো একটি মেগা প্রকল্প ‘সিলেট মেরিন একাডেমি’ ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। ১০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট সদর উপজেলার হাটখোলা ইউনিয়নের বাদাঘাট এলাকার চেঙ্গেরখাল নদীর তীরবর্তী ১০ একর জমির উপর নির্মিত হয়েছে এ প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ৫০ জন ক্যাডেট ভর্তির মাধ্যমে শুরু হয় একাডেমির শিক্ষা কার্যক্রম।
২০২১ সালের ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাডেমির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।এছাড়া সিলেটের কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে দক্ষিণ সুরমার কুচাই ইউনিয়নের তৈয়ব সুলতান মৌজায় ১০ একর ভূমিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে শেখ রাসেল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও সিলেট টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট।বর্তমান সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হতে যাচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থায়। সড়ক, আকাশ, রেল ও নৌপথে সমানতালে নেয়া হয়েছে উন্নয়ন প্রকল্প। অনেক জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে সিলেট-ঢাকা ৬ লেন মহাসড়ক প্রকল্প। ইতোমধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকার বেশি। এডিবির ঋণ বরাদ্দের ফলে অর্থ নিয়ে কেটেছে অনিশ্চয়তা। মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত হলে বদলে যাবে এখানকার অর্থনীতির চিত্র। নতুন গতি পাবে শিল্প ও পর্যটন।
এই মহাসড়ক ছাড়াও ইতোমধ্যে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কটি চারলেনে উন্নিতকরণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে।
রেলপথ উন্নয়নে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দীর্ঘ প্রচেষ্টায় সিলেট-আখাউড়া সেকশনে মিটারগেজ রেলপথটি ডুয়েলগেজে রূপান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নৌপথের ব্যবহার বৃদ্ধি ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে সিলেট বিভাগের ১১৪টি ছোট-বড় নদী খননে নৌমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই প্রস্তাবের আলোকে নদী উদ্ধার, খনন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে নৌমন্ত্রণালয়।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নত করতে নেয়া হয়েছে মেগা প্রকল্প। ২ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নেয়া হয়েছে বিমানবন্দর উন্নয়নে দুটি প্রকল্প। এর মধ্যে ৪৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে সুপরিসর বিমান ওঠানামার জন্য শক্তি বৃদ্ধি করা হচ্ছে রানওয়ের। এই প্রকল্পটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এছাড়া ২ হাজার ১১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে আধুনিক সুবিধাসহ একটি পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক টার্মিনাল। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের বর্ণি এলাকায় বাস্তবায়ন হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক’। ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সিলেটে নতুন আরেকটি শিল্প নগরী স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। ৫০০ একর জায়গার উপর এই শিল্পপার্ক স্থাপনের প্রকল্প নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সিলেটে নির্মাণ হচ্ছে নতুন আরেকটি সরকারি হাসপাতাল।
নগরীর চৌহাট্টায় আড়াইশ’ শয্যার নতুন সিলেট জেলা হাসপাতাল নির্মাণ কাজ চলছে পুরোদমে। প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশে নতুন আরেকটি স্টেডিয়াম নির্মিত হয়েছে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম গ্রাউন্ড-২ নামে পরিচিত এই স্টেডিয়ামটি প্রায় ৬ মাস আগে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়েছে।
তবে মেয়াদ শেষে কতটুকু পেরেছেন তারা এর মুল্যায়ন করছেন দিশের সূধীসমাজ। কেউ বলছেন তারা তাদের কথার বেশীর ভাগ রক্ষা করেছেন। দেশে পদ্মা সেতু, মেট্্েরারেল, টানেল, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুত প্রকল্পসহ মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে পাশাপাশি সিলেটে বেশ কয়েকটি মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নের ফলে সরকারের ভাবমূর্তি বেড়েছে। তবে দূর্নীতি দমনে ব্যর্থতা, ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে বিশৃংখলা, অনিয়ম ভাবাচ্ছে দেশের সচেতন মানুষদের। উগ্র জঙ্গী তৎপরতা দমনে সরকারের সাফল্য থাকলেও সন্ত্রাস- মাদক দমনে সফল হতে পারেননি সরকার।
তবে ঢাকা-সিলেট ছয় লেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্প পুরোদমে শুরু না হওয়ায় জনমনে কিছুটা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে এমনটি মনে করছেন সিলেটের সূধীসমাজ। পাশাপাশি বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের উপর সরকারের দমন পিড়ন দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে সিলেট অঞ্চলে অনেক কম । দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি আর আইনের শাসনের অপপ্রয়োগ সিলেটের জনমনে নাভিশ্বাসের সৃষ্টি করেছে।
সিলেট বিভাগের ১৯টি সংসদীয় আসনের প্রায় সবকয়টি আসনই আওয়ামীলীগের সাংসদদের দখলে। সেই হিসেবে সবকয়টি আসনে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সমান তালে এগিয়ে যাওয়া যতটুকু দরকার ছিল তার বেশির ভাগই সম্ভব হয়নি। সেক্ষেত্রে সবকটি জেলা সদর, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এগিয়ে রয়েছে। সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ সদরে সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ যতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে, এসব জেলার অন্যান্য অঞ্চলে ততটুকু হয়নি। আসন্ন নির্বাচনে এর প্রভাব সরকার দলীয় প্রার্থীদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
এপ্রসঙ্গে আলাপকালে সচেতন নাগরিক কমিটি, সিলেটের আহবায়ক ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীকে স্বপ্রনোদিত হয়ে নির্বাচনী ইশতেহারের বাস্তবায়িত এবং বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলো জনসম্মুখে প্রচার করা উচিত। এতে প্রতিটি এলাকার অধিবাসীরা তাদের প্রাপ্ত সেবা এবং আগামী পরিকল্পনা সম্বন্ধে সঠিক ধারণা নিতে পারবে।
সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার দেশের অনেকগুলো মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করলেও জনগুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে আইনের শাসন, রাজনৈতিক দলের সমান অংশগ্রহণ এবং দূর্নীতি প্রতিরোধে পিছিয়ে রয়েছে। আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রস্তাবিত নির্বাচনি ইশতেহারে জনকল্যাণমূখী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জোর দেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহিন বলেন, গত ৫ বছরের সময়কালে বাংলাদেশের টাকা বিদেশে পাচার হওয়া এবং পদ্মা সেতুসহ মেগা প্রজেক্ট সমূহের প্রাক্কলিক ব্যয় চেয়ে কয়েকগুন বেশি টাকা ব্যয় হওয়ায় দেশের অর্থনীতিতে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে সাধারন মানুষের মধ্যে চাপের সৃষ্টি হয়েছে এবং জনজীবন হয়ে উঠেছে দুবির্ষহ।
গত ১০ বছরে গুম, খুন হওয়া ব্যক্তিদের আইনি যথাযথ তদন্ত না হওয়ায় আইনের শাসন অনিশ্চয়তার মূখে পড়েছে, বিচার বহিভূর্ত কর্মকান্ডের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোকে বাদ দিয়ে কিছুসংখ্যক দল নিয়ে নির্বাচনের নামে কয়েক কোটি টাকা খরচের নামে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক মামলা, মোকদ্দমা দায়েরের মাধ্যমে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি