অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) বলেছেন, অন্যান্য উপসাগরীয় দেশের পদক্ষেপ অনুসরণ করে এবং সৌদি-ইসরায়েল চুক্তির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় চাপের মধ্যে তার দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে ক্রমাগতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ফক্স নিউজকে মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘প্রতিদিন, আমরা আরও কাছাকাছি যাচ্ছি।’ ২০১৯ সালের পর এই প্রথম কোনো মার্কিন টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এমবিএস। ক্রাউন প্রিন্সের সাক্ষাৎকারটি এমন সময় এসেছে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন দুটি দেশ এবং তার শীর্ষ মধ্যপ্রাচ্য মিত্রদের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এটি সফল হলে এ অঞ্চলের ভূ-রাজনীতি নতুন মাত্রা পাবে। স্বাভাবিকীকরণ আলোচনা হল জটিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু যার মধ্যে ফিলিস্তিনিদের জন্য সম্ভাব্য ইসরায়েলি ছাড়, মার্কিন নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং রিয়াদ যে বেসামরিক পারমাণবিক সহায়তা চেয়েছিল সে বিষয়ে আলোচনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সালমান ফক্স নিউজকে বলেছেন, ফিলিস্তিন ইস্যুটি রিয়াদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সেই অংশটির সমাধান করতে হবে। আমরা কোথায় যাই তা দেখতে হবে। আমরা আশা করি এটি এমন একটি জায়গায় পৌঁছে যাবে যার ফলে ফিলিস্তিনিদের জীবন সহজ হবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে একটি আঞ্চলিক মেগা-ডিলের সম্ভাব্য সুবিধার কথা বলেছেন। বাইডেন যদি ২০২৪ সালের নির্বাচনে পুনরায় জয়ী হতে পারেন তাহলে এটি হবে তার বিদেশি নীতির জয়। এমবিএস আরও বলেছেন, ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র পায়, তাহলে সৌদি আরবকেও পেতে হবে। ইসরায়েল এবং সৌদি আরবের দীর্ঘদিনের প্রতিপক্ষ ছিল ইরান।
তবে রিয়াদ এবং তেহরান মার্চ মাসে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সম্মত হওয়ার পর থেকে তাদের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। তবে তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র চাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে, কিন্তু বছরের পর বছর ধরে তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক সন্দেহের কেন্দ্রে রয়েছে। গত বুধবার বাইডেন এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। এখানে তারা ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। উভয় নেতা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র না দেওয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করেছে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু