অনলাইন ডেস্ক :
দুই জিম্মিকে মানবিক কারণে মুক্তি দিয়েছে হামাস। একই কারণে সংগঠনটি শুক্রবার আরো দুই জিম্মিকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েল ওই দুই জিম্মিকে গ্রহণ করতে রাজি হয়নি বলে দাবি তাদের। এদিকে, হামাসের এই দাবিকে ‘প্রপাগান্ডা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। কাতারের মধ্যস্থতায় শুক্রবার হামাস তাদের হাতে জিম্মি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক মা জুডিথ তাই রানান ও তার ১৭ বছর বয়সী মেয়ে নাতালিকে মুক্তি দেয়। হামাসের মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেন, ওই মা-মেয়ের সঙ্গে তারা শুক্রবার আরো দুই জিম্মিকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল এবং নিজেদের এই ইচ্ছার কথা কাতারকে জানিয়েও ছিল। পরে আরেক বিবৃতিতে আবু উবাইদা বলেন, জুডিথ ও নাতালিকে যে প্রক্রিয়ায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে ঠিক সেই প্রক্রিয়ায় হামাস রোববার (২২ অক্টোবর) আরো দুই জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত আছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১৩শর বেশি মানুষকে হত্যা করে হামাস। সেদিন ফিলিস্তিনের সশস্ত্র এই সংগঠনটি ইসরায়েল থেকে প্রায় ২১০জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায়। জিম্মিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কয়েকটি দেশের নাগরিকরা রয়েছে। যাদের জীবিত উদ্ধারে নানা রকম চেষ্টা তদবির চলছে। কাতারের মধ্যস্থতায় শুক্রবার প্রথম কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। হামাস মুক্তি দেওয়া মা-মেয়ে জুটিকে রেডক্রসের হাতে তুলে দেয়। পরে রেডক্রস এর কর্মীরা তাদের ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। বর্তমানে জুডিথ ও তার মেয়ে ইসরায়েলে স্বজনদের জিম্মায় রয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর বাসিন্দা।
এদিকে হামাস আরো দুই জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছে সেটিকে তাদের প্রপাগান্ডা বলেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা হামাসের মিথ্যা প্রচারের কথা উল্লেখ করবো না। “আমরা সব অপহৃত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব। ফিলিস্তিন উপকূলের বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোয় আরো কয়েকটি সশস্ত্র গ্রুপে হাতে ৫০ জনের বেশি ইসরায়েলি আটক আছে বলেও দাবি করেছে হামাস। এ ছাড়া ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২০ জনের মতো বন্দি মারা গেছে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু