প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় ধাপে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেছেন।
সোমবার তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত মসজিদগুলো উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা ও নগরকান্দায় অবস্থিত মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র; গাজীপুরের কাপাসিয়া; গোপালগঞ্জের সদর উপজেলা; সদর উপজেলা, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী; জিওর উপজেলা, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া; সদর উপজেলা, নরসিংদীর মনোহরদী; রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা; জেলা সদর, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা; ধুনট উপজেলা, বগুড়ার নন্দীগ্রাম; নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা; নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা; চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলা; পাবনার ভাঙ্গুড়া ও সুজানগর উপজেলা; সিরাজগঞ্জের কাজিপুর; রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন; রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া; ঠাকুরগাঁওয়ে সদর উপজেলা; শেরপুরে সদর উপজেলা; জেলা সদর পিরোজপুর; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলা ও কসবা; সদর উপজেলা ও খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি; কুমিল্লার চান্দিনা ও চৌদ্দগ্রাম; খুলনায় রূপসা; কুষ্টিয়ার খোকসা ও ভেড়ামারা; জেলা সদর ও মেহেরপুরের গাংনী; সাতক্ষীরার দেবহাটা; সিলেটের গোয়াইনঘাট; জেলা সদর ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর; এবং হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই মডেল মসজিদগুলোতে ওযু এবং নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে।
এছাড়া হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা, দাফন অনুষ্ঠানের স্থান, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। ইসলামিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও ইসলামিক দাওয়াতের জন্য সম্মেলন কক্ষ, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, মসজিদসহ দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য থাকার সুবিধা রয়েছে।
এর আগে, ২০২১ সালের ১০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের সত্য বাণী প্রচার এবং ধর্মীয় ভ্রান্ত ধারণা দূর করার লক্ষ্যে সারাদেশে একযোগে মোট ৫৬৪টির মধ্যে প্রথম ধাপের ৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেন।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো ইসলামি ভ্রাতৃত্ব এবং এর মূল্যবোধ বৃদ্ধির পাশাপাশি চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের মর্মবাণী প্রচার করা।
এ ক্যাটাগরির অধীনে, ৬৪টি জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় লিফট সুবিধাসহ প্রায় ৬৯টি চারতলা মসজিদ এবং প্রতিটি ফ্লোর স্পেস দুই হাজার ৩৬০ দশমিক ০৯ বর্গমিটার নির্মাণ করা হচ্ছে।
বি ক্যাটাগরির অধীনে, প্রতিটি এক হাজার ৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গ মিটার ফ্লোর স্পেস দিয়ে ৪৭৫টি মসজিদ তৈরি করা হচ্ছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে সি ক্যাটাগরির অধীনে ১৬টি মসজিদের প্রতিটি দুই হাজার ৫২ দশমিক ১২ বর্গ মিটার মেঝে থাকবে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
দিনাজপুরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত ২