আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য আইন হোক- তা তিনিও চান। কিন্তু এবার সে সময় নেই, আর সংসদকে পাশ কাটিয়ে অধ্যাদেশ জারি করা সঠিক হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, সার্চ কমিটিতে রাজনৈতিক দলের কেউ নেই। সরকারি দলের কেউ নেই। সার্চ কমিটি ১০ জনকে নির্বাচন করে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম পাঠাবেন। সকলের নাম দেয়ার অধিকার আছে, ক্ষমতা আছে। সুতরাং নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কোনো বিতর্ক করার অবকাশ আছে বলে মনে হয় না।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি তাঁর ডায়ালগ (সংলাপ) শুরু করে দিয়েছেন। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। এটা রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব।
মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নামের প্রস্তাব নেবেন। এর মাধ্যমে হবে সার্চ কমিটি। সেই সার্চ কমিটি যে সব নাম প্রস্তাব করবে, তাদের মধ্যে থেকে রাষ্ট্রপতি নতুন ইসি গঠন করে দেবেন।
তিনি বলেন, এই সার্চ কমিটির সদস্য হবেন- আপিল বিভাগের একজন জ্যৈষ্ঠ বিচারপতি, হাইকোর্টের একজন বিচারপতি, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং অডিটর অ্যান্ড কম্পট্রোলার জেনারেল। এরা সবাই সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত। আর দুজন হবেন সিভিল সোসাইটির (সুশীল সমাজ) সদস্য।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এও জানি এর কিছু অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে। এটা যাতে বন্ধ হয় সেজন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন কোনো সাংবাদিককে মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় না। আগে যাচাই-বাছাই হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
দেশ সংস্কারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র