অনলাইন ডেস্ক :
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের ৩০ লাখ শিশু চরম পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। এরমধ্যে প্রতিদিন গড়ে প্রাণ হারাচ্ছে ৩শ শিশু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভয়াবহ এই তথ্য। দ্রুত অবস্থার উন্নতি না হলে, ভয়াবহতা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে সংস্থাটি। ইয়েমেনের তাইজ প্রদেশের সামির জেলায় বাস করেন শাকের। ডায়রিয়া ও বমির কারণে একমাত্র সন্তান-শুকরিকে নিয়ে হাসপাতালে আছেন তিনি। তিনি জানান, “ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছে আমার শিশু। তার ডায়রিয়া আর বমি হচ্ছে। এর মূল কারণ আমাদের স্বাস্থ্য সেবা, হাসপাতাল ও ওষুধের অভাব আছে। আমরা যথেষ্ট খাবার জোড়ার করতে পারি না, যার কারণে অপুষ্টির শিকার শিশুরা।” প্রাদেশিক রাজধানীতে মূল হাসপাতালটি শাকেরের বাড়ি থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে। তবুও এই পথ পাড়ি দিতে তাকে বেশ ধকল পার করতে হয়। ৬ বছরের যুদ্ধের ভয়াবহ মাশুল গুনছে ইয়েমেনের শিশুরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, দেশটির মোট শিশুর ৭৫ শতাংশই তীব্র পুষ্টিহীনতার শিকার। যুদ্ধের কারণে নানা ধরনের রোগের শিকার সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি শিশু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদন বলছে, ইয়েমেনে ৩ হাজারের বেশি শিশু ভুগছে জন্মগত অস্বাভাবিকতায়। আরও ৩ হাজার শিশুর ওপেন হার্ট সার্জারির জন্য জরুরি ভিত্তিতে দেশের বাইরে যাওয়ার দরকার হলেও, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় তা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে ভুগছে ইয়েমেনের ১৫ কোটি মানুষ, যাদের বেশিরভাগই শিশু। দেশটিতে জরুরি ভিত্তিতে সেবা দিতে ২৩৫ মিলিয়ন ডলার অর্ধের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ইউনিসেভ। ইয়েমেনে ২০১৫ সালের মার্চে শুরু হওয়া যুদ্ধে অভ্যন্তনীন বাস্তুচ্যুত শিশুর সংখ্যা ১৭ লাখ। এপর্যন্ত প্রাণ গেছে ৩ হাজার ৮শোর বেশি শিশুর। আহতের সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু