জেলা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ :
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছে। রবিবার ভোররাতে ময়মনসিংহ চরপাড়ায় অবস্থিত সরগরম হোটেলের ২য় তলায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম পৌর এলাকা জয়পুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার পুত্র। ঈশ্বরগঞ্জ জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার গো-হাটা বাজারে আপন জুয়েলার্সের মালিক। আত্মহত্যার পূর্বে শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তার “জাহাঙ্গীর আলম” আইডিতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে “সাইফুর রহমান রাসেল কাউন্সিলর এক নাম্বার ওয়ার্ড ঈশ্বরগঞ্জ পিতা মৃত সোলাইমান উদ্দিন ভূইয়া, মিলন মিয়া, সুজন মিয়া, অন্তর মিয়া উভয়ের পিতা কাঞ্চন মিয়া। কাঞ্চন মিয়া পিতা মৃত হাসেন আলী, কাকনহাটি ঈশ্বরগঞ্জ এরা আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী” লিখে আত্মহত্যা করেন।
রমণী জুয়েলার্সের মালিক মিলন মিয়া জানান, ব্যবসায়ী সূত্রে ৩৪জন সদস্য নিয়ে ৩শ ৪০দিন মেয়াদী ঈশ্বরগঞ্জ বাজার জুয়েলারি মালিক সমিতি নামের একটি টান সমিতি প্রতিষ্ঠিত করে। সেখানে প্রতিদিন ৩শ টাকা করে কিস্তি জমা করা হতো। ১০ দিন পর পর একেকজন সদস্যের জমানো ১লক্ষ ২০হাজার টাকা থেকে প্রতি সদস্য ১লক্ষ ১৫হাজার টাকা করে পেতো। পরে সর্বশেষ ৪জনের টাকা জাহাঙ্গীরের কাছে ছিল। গৌরাঙ্গ রায়, সৌভাগ্য দত্ত, মিলন মিয়া ও বাবুল দাস ১০দিনের কিস্তি বাদে জাহাঙ্গীরের নিকট ৯৪হাজার করে টাকা পেতো। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা তার কাছে টাকা পেতো।
এবিষয়ে ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুর রহমান ভুঁইয়া রাসেল জানান, জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় জর্জরিত ছিল। এছাড়াও ঋণের যন্ত্রণায় মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছিল। অনেকেই আমার কাছে নালিশ করলে আমি তাকে বলেছি পাওনাদারদের ঋণ পরিশোধ করে নিয়মিত ব্যবস্যা করতে বলি। তাছাড়া তার সাথে আর কোন কথা হয়নি।
এবিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল কাদের মিয়া জানান, ঘটনাস্থল ময়মনসিংহ কোতোয়ালী হওয়ায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ও আইনানুগ সকল ব্যবস্থা কোতোয়ালী থানা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি