ইসলামী ছাত্রশিবির এবং উগ্রবাদী গোষ্ঠীর দ্বারা হত্যার হুমকি এবং সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়ার পর এর বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কিছু শিক্ষার্থী।
ওই গোষ্ঠীর সহিংসতা ও মতাদর্শগত মগজ ধোলাইয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও মনে করেন তারা।
নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার অভিযোগে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত বুয়েটের ২৪ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের কথা উল্লেখ করেন তারা। এসব অভিযোগ সত্ত্বেও ওই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে অংশ নিচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে থাকছে, যা তাদের সহপাঠীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আক্রমণ ও সরাসরি হত্যার হুমকিসহ চলমান হয়রানির বিস্তারিত তুলে ধরেন তারা।
‘পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে ক্রুসেড’-এর জন্য শিক্ষার্থীদের দলে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টায় ক্যাম্পাসে একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের লিফলেট বিতরণের দৃশ্য সিসিটিভি ফুটেজে দেখার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
এসব হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে, ভবিষ্যতে আরও হুমকি যেন না পেতে হয় সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ছাত্রাবাস থেকে উচ্ছেদ করা হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছেন বলে জানান তারা।
এদিকে এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে যুদ্ধাপরাধীদের মহিমান্বিত করা ও যুদ্ধাপরাধকে লঘু করার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম।
২০১৩ সালে ছাত্রনেতা তন্ময় আহমেদ ও আরিফ রায়হান দীপসহ বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়টি এখানে উঠে এসেছে। ‘ইসলামের শত্রু’ আখ্যায়িত করে এক মৌলবাদী গোষ্ঠীর প্রচারণার পর এ আক্রমণ আসে যার ফলে দীপের মৃত্যু হয়, অন্যদিকে তন্ময় গুরুতর আহত অবস্থায় বেঁচে যায়।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম