দিনাজপুরসহ উত্তরের আট জেলায় তীব্র জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। যানবাহনে ব্যহারের জ্বালানি পেট্রোল ও সীমিত পরিমাণ অকটেন মিললেও তাতে যানবাহনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না।
জানা গেছে, ঈদের আগে খুলনা থেকে সর্বশেষ দুই লাখ লিটার পেট্রোল সরবরাহ করা হয়েছিল ডিপোতে। ফলে পেট্রোলের পরিবর্তে যানবাহনে অকটেন ভরতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। এতে চাপ পড়েছে অকটেনে। অন্যদিকে সীমিত পরিমাণে অকটেন পাওয়া গেলেও তা চাহিদার তুলনায় নগণ্য। ফলে পর্যাপ্ত সরবরাহ না পাওয়ায় জ্বালানি বহনকারী ট্যাংকারের ভিড় জমেছে ডিপোর সামনে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, উত্তরাঞ্চলের চাহিদা অনুযায়ী পেট্রোল, অকটেনসহ ডিজেল চট্রগ্রাম থেকে খুলনা হয়ে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেলওয়ে হেড ডিপোতে পৌঁছে। তবে ঈদের পর ডিপোতে এক লিটার পেট্রোলও সরবারহ করা হয়নি। ফলে পেট্রেল নির্ভর মোটরযান ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যান্ত্রিক বাহন চালকদের চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে।
কবে নাগাদ এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা বলতে পারছেন না পেট্রো বাংলার স্থানীয় কর্মকর্তারা। তবে সোমবার খুলনা থেকে পেট্রোল ও অকটেন বহনকারী রেলওয়ে রেকার ডিপোর উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তারা।
এ বিষয়ে পার্বতীপুরে রেলওয়ে হেড ডিপোর ব্যবস্থাপক ইমরান জানান, রবিবার ডিপোতে দুই লাখ লিটার অকটেন সরবরাহ করা হয়েছিল। উত্তরের আট জেলায় পেট্রোল পাম্পের সংখ্যা ১২৫টি।
তিনি জানান, ডিপোতে পেট্রোলের ধারণ ক্ষমতা এক লাখ ৫৭ হাজার লিটার এবং অকটেন এক লাখ ৮০ হাজার লিটার। প্রায় খালি পড়ে রয়েছে ডিপোর প্রতিটি স্টোরের ট্যাংক।
প্রসঙ্গত, উত্তেরের আট জেলায় চাহিদা মত দ্রুত জ্বালানি সরবরাহের লক্ষ্যে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেলওয়ে হেড ডিপো স্থাপন করে পেট্রোবাংলা। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদে জ্বালানি সংকট দূর করতে ডিজেলের পাশাপাশি অন্যান্য জ্বালানি পেট্রোল ও অকটেন সরবারহ করা হয় ওই ডিপো থেকে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি