November 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, July 9th, 2023, 7:35 pm

উন্নয়ন পরিকল্পনায় বিদেশি জ্ঞান প্রয়োগ করার আগে দেশকে জানুন: স্কলারদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

ছবি: পি আই ডি

দেশীয় বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে দেশের শিক্ষা ও জ্ঞানকে গণমুখী ও টেকসই করতে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য স্কলারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আপনাকে প্রথমে দেশকে জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং অনুভব করতে হবে। এখান থেকে কিছু জ্ঞান অর্জন করা যেতে পারে। অভিজ্ঞতা সম্পন্নরা যদি প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে অর্জিত জ্ঞান এবং উচ্চ শিক্ষা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানের মধ্যে সমন্বয় করে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন তবে উন্নয়ন টেকসই হবে।’

‘এভাবেই দেশ এগিয়ে যেতে পারে।’

রবিবার বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য তার কার্যালয়ের শাপলা হলে প্রধানমন্ত্রীর ফেলোশিপ-২০২৩-২৪ প্রদানকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা সহ বিদেশে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চতর পড়াশোনা করার জন্য বিভিন্ন সেক্টর থেকে ৪৮ জন স্কলার – ৩৮ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ১০ জন পিএইচডি ফেলো- ফেলোশিপ পেয়েছেন৷

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার গত ১৪ বছরে সে অনুযায়ী কাজ করে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি সেক্টরে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি।

তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে ফেলোদের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে তাদের জ্ঞানের বিকাশের সুযোগকে কাজে লাগাতে বলেন।

তিনি ফেলোদের দেশের উন্নয়নের জন্য বিদেশি মডেলের ওপর নির্ভর না করে তাদের নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা এবং চিন্তাভাবনা প্রয়োগ করতে বলেছিলেন,

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের উন্নয়নে অন্যের মডেল থাকবে না… আমরা দেখব, অন্যকে জানব এবং এভাবে জ্ঞান অর্জন করব। কিন্তু আমাদের নিজেদের মেধা এবং চিন্তা ব্যবহার করতে হবে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে বা বিবেচনার ক্ষেত্রে কোনটি। আমাদের জন্য অপরিহার্য।’

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় দেশের ভৌগলিক অবস্থান, জলবায়ু, মানুষের মানসিকতা, তাদের সার্বিক অবস্থা এবং দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ বিবেচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

২০১৮ সালে সিভিল সার্ভিস, একাডেমিয়া এবং দেশের যোগ্য নাগরিকদের জ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ফেলোশিপ চালু করা হয়েছিল।

ফেলোশিপ প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার পর থেকে, প্রায় ২৩৯ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ৯৮ জন পিএইচডি ফেলো বিশ্বের নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের উচ্চতর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিদেশে রয়েছেন।

পিএইচডি-র বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের প্রথমে তাদের নিজস্ব যোগ্যতায় বিশ্বের ১০০টি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটিতে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আর স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য ফেলোশিপের ক্ষেত্রে একজন আবেদনকারীকে অবশ্যই তাদের নিজ যোগ্যতায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ২০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটিতে ভর্তি হতে হবে।

একবার ভর্তি নিশ্চিত হয়ে গেলে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিটের (জিআইইউ) অধীনে বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।

স্বাগত বক্তব্য দেন জিআইইউ মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ।

দুই ফেলো-শিবলী ইসলাম ও আফিফা আঞ্জুমানের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপ-সচিব এ এম আলমগীর কবির ইতোমধ্যে এই বৃত্তি পেয়ে পিএইচডি করেছেন। যারা এই অনুষ্ঠানে তাদের অনুভূতি শেয়ার করেন।

—-ইউএনবি