অনলাইন ডেস্ক :
উপসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে জোরপূর্বক একটি বাণিজ্যিক জাহাজ আটক করেছে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস। ওই জাহাজটি চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের। মার্কিন পঞ্চম ফ্লিটের মুখপাত্র কমান্ডার টিম হকিন্স জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি আর কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি কোম্পানি অ্যামব্রে জানিয়েছে, সৌদি আরবের বন্দর শহর দাম্মাম থেকে প্রায় ৫৯ নটিক্যাল মাইল উত্তর-পূর্বে একটি ছোট তানজানিয়ার পতাকাবাহী ট্যাঙ্কার ইরানি বাহিনীর দ্বারা আটকের চেষ্টার বিষয়ে তারা সচেতন ছিল। সংস্থাটি আরও জানায়, তেল চোরাচালানের বিষয়ে ইরান প্রতিনিয়ত সেখানে নজারদারি চালায়।
ছোট ছোট ট্যাঙ্কারের গতিরোধ করে থাকে। বিশ্লেষক সংস্থা ভর্টেক্সার তথ্য অনুসারে, বিশ্বের সামুদ্রিক অপরিশোধিত তেল ও তেল পণ্য সরবরাহের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ হরমুজ প্রণালী দিয়ে যায়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী জানায়, ওমান সাগার থেকে দুইটি ট্যাঙ্কারের আটক ঠেকাতে হস্তক্ষেপ করা হয়। হকিন্স বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ জলসীমায় বৈধ সামুদ্রিক ট্রাফিকের নৌ চলাচলের অধিকার রক্ষা করতে প্রস্তুত ও সতর্ক রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী। যদিও ইরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তেহরানের একটি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর আদালতের আদেশে একটি ট্যাঙ্কার আটক করা হয়েছে। উপসাগরে প্রায়ই বিভিন্ন দেশের পতাকাবাহী জাহাজ-ট্যাঙ্কার আটক করে থাকে ইরান।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু