November 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, February 10th, 2022, 8:20 pm

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ফের আন্দোলনমূখর শাবিপ্রবি

জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আবারও আন্দোলনমূখর হয়ে উঠছে গোটা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। ১০ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন এবং দেয়ালে হাতের ছাপ মারে। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারী) বিকালে এ মিছিল বের করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। চলমান আন্দোলনের প্রতিবাদী ছবিসংযুক্ত প্ল্যাকার্ড, স্লোগান দিয়ে মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের ধারাবাহিকাতায় শিক্ষার্থীরা এদিন গোলচত্বর থেকে একটি মিছিল শুরু হয়ে উপাচার্যের বাসভবন, আইআইসিটি ভবন, প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন ‘ই’ হয়ে পুনরায় গোলচত্বরে এসে শেষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদী লেখা, আন্দোলনের ছবি, ব্যাঙ্গচিত্র সংবলিত প্লাকার্ড। প্লাকার্ডে শিক্ষার্থীরা লিখেন, ‘আমাদের আন্দোলন চলছে চলবে, অবলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার কর, করতে হবে ফরিদের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান, ফরিদ হটাও শাবি বাচাঁও’ ইত্যাদি। মিছিলে শিক্ষার্থীরা একই দাবি তুলে স্লোগান দেন তারা।
আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের আন্দোলন অব্যাহত আছে, থাকবে। ভিসি ফরিদ উদ্দিনকে না হটানো পর্যন্ত এ আন্দোলনের শেষ হবে না। তারা বলেন, প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনশন ভাঙানোর অর্ধমাস পেরিয়ে যাচ্ছে। এখনো আমাদের সকল দাবি মেনে নেওয়ার দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি একটি হলের প্রভোস্টকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। এদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন এ হলের ছাত্রীরা। পরে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের কর্মীরা ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালালে, পরের দিন হামলার প্রতিবাদ ও একই দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিপেটা, শটগান, গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। ওই দিন রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।