November 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, June 11th, 2023, 8:12 pm

উল্লাসে মেতে উঠলেন ম্যানচেস্টার সিটি

অনলাইন ডেস্ক :

ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই বাঁধনহারা উল্লাসে মেতে উঠলেন ম্যানচেস্টার সিটি স্কোয়াডের সবাই। আনন্দে কারো কারো চোখে চলে এলো জল। ইংলিশ ফুটবলে শিরোপার পর শিরোপা জিতলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ যে এবারই প্রথম পেল তারা। অধিনায়ক ইলকাই গিনদোয়ান তার প্রতিক্রিয়ায় বললেন, ইতিহাস গড়ার উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়ার কথা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত শনিবারের ফাইনালের আগে সিটির সামনে হাতছানি ছিল দ্বিতীয় ইংলিশ ক্লাব হিসেবে ‘ট্রেবল’ জেতার। ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ফাইনালে ফেভারিট ধরা হচ্ছিল পেপ গুয়ার্দিওলার দলকেই। মাঠের খেলায় অবশ্য এর প্রতিফলন হয়নি। জমাট রক্ষণ ধরে রেখে সিটির কাজটা কঠিন করে তোলে ইন্টার। দারুণ কিছু সুযোগও তৈরি তারা। অবশেষে ৬৮তম মিনিটে ইংলিশ দলটিকে এগিয়ে দেন মিডফিল্ডার রদ্রি, শেষ পর্যন্ত যা গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য।

মাঠের একেক প্রান্তে সিটি খেলোয়াড়দের হাসি-কান্না মিশ্রিত উল্লাসই বলে দিচ্ছিল, কতটা ব্যাকুল ছিলেন তারা এই একটি শিরোপার জন্য। ম্যাচ শেষে বিটি স্পোর্টকে গিনদোয়ান বলেন, কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি এই সাফল্য। “অবিশ্বাস্য। এই অনুভূতি ব্যাখা করা কঠিন। আজ আমরা ইতিহাস গড়েছি। এই দলটি সর্বোচ্চ স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। আমরা জানতাম সবাই ট্রেবল সম্পর্কে কথা বলছে। চাপ ছিল, কিন্তু এই দলটি সম্ভাব্য সেরা উপায়ে চাপ সামলানোর জন্য প্রস্তুত হয়েছে।” চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত হতেই আনন্দে চোখ ভিজে গিয়েছিলে জ্যাক গ্রিলিশের। ইংলিশ এই ফুটবলারের কাছে এই মুহূর্তটি কখনই ভুলবার মত নয়। “এটার জন্যই আমি সারাজীবন কাজ করেছি। আমি খুব খুশি, আমি আজ ছন্দে ছিলাম না, কিন্তু আমি তা নিয়ে ভাবছি না।” ইংলিশ ফুটবলে নিজের প্রথম মৌসুমেই বাজিমাত করেছেন আর্লিং হলান্ড। রেকর্ড ৫২টি গোল করার পাশাপাশি জিতলেন তিনটি শিরোপা। এখানেই না থেমে দলটির হয়ে আরও শিরোপা জেতার লক্ষ্য তার।

“স্বপ্নেও এমন কিছুর কথা ভাবিনি আমি। কয়েকদিন পর যখন সব শান্ত হবে এবং এই ট্রফি জেতার উচ্ছ্বাস কিছুটা কমবে, নিশ্চিতভাবে আমি এটা আবার জিততে চাইব। এই মৌসুমে আমরা যা অর্জন করেছি তা আমাদের ডিফেন্ড করতে হবে। এভাবেই ব্যাপারটা কাজ করে। এক মাসে সবাই সবকিছু ভুলে যাবে এবং আমাদের আবার শুরু করতে হবে।” সিটিকে ফাইনালে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা কেভিন ডে ব্রুইনে ফাইনালে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন প্রথমার্ধে। এই তারকা মিডফিল্ডার মনে করেন, দলটির সবাই ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছেন। “এটার জন্য আমি অনেক অনেকে বছর ধরে লড়াই করে যাচ্ছি। এটা অবিশ্বাস্য যে আমরা সিটির হয়ে তা অর্জন করতে পেরেছি। ক্লাবের ইতিহাসে এটিই প্রথম (চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়)। তাই ক্লাবের সঙ্গে আমাদের নাম সবসময় জড়িয়ে থাকবে। এটা সত্যিই দারুণ কিছু।”