অনলাইন ডেস্ক :
ফুটবলের ঠাসা সূচি নিয়ে এর আগেও ক্ষোভ ঝেড়েছেন অনেকে। কড়া সমালোচনা করেছেন। এবার থিবো কোর্তোয়া ধুয়ে দিলেন উয়েফা ও ফিফাকে। ফুটবলের এই নিয়ন্তা সংস্থাগুলো অর্থ ছাড়া কিছু বোঝে না বলে তীর্যক ভাষায় আক্রমণ করেছেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক। তারা ফুটবলারদের কথা একবিন্দু ভাবে না বলেও অভিযোগ তার। উয়েফা নেশন্স লিগে গত রোববার বেলজিয়ামকে ২-১ গোলে হারিয়ে তৃতীয় হয় ইতালি। ওই ম্যাচের আগে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ আয়োজনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল কোর্তোয়াকে। স্রেফ অর্থের জন্য ম্যাচটি হচ্ছে বলে কড়া ভাষায় উত্তর দেন তিনি। “এটা স্রেফ একটা অর্থের ম্যাচ এবং সৎভাবে বলতে গেলে এটাই বলতে হবে। আমরা ম্যাচটি খেলছি কেবল উয়েফার জন্য, বাড়তি অর্থের জন্য এবং টিভিতে অতিরিক্ত একটা ম্যাচ দেখানোর জন্য।” “ওকে, এটা আমাদের জন্য ভালো একটা ম্যাচ, কেননা আমরা ইতালির বিপক্ষে খেলব। ইতালির জন্য এটা ভালো একটা ম্যাচ, কেননা, তারা বেলজিয়ামের বিপক্ষে খেলবে। অবশ্যই সবাই বলেছে তারা ম্যাচটি খেলতে চায়, কিন্তু দুটি দলকে দেখুন এবং দেখুন তারা কত খেলোয়াড় বদল করেছে। যদি দুটো দল ফাইনাল খেলত, তাহলে অন্য খেলোয়াড়রা খেলত। এটা দেখাচ্ছে, খুব বেশি ম্যাচ খেলছি আমরা।” আগামী বছর আছে কাতার বিশ্বকাপ। এখনও এর বাছাই পর্ব শেষ হয়নি। ক্লাবের খেলাও আছে। একের পর এক ম্যাচের ফলে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। এভাবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলা চালিয়ে যাওয়া যায় না বলেও মনে করেন রিয়াল মাদ্রিদের এই গোলরক্ষক। “জুনে নেশন্স লিগের চারটি ম্যাচৃকেন? পরের বছর নভেম্বরে আমাদের বিশ্বকাপ খেলতে হবে এবং জুন পর্যন্ত আবারও পরের ধাপের ম্যাচগুলো খেলতে হবে আমাদের।” “আমরা চোটে পড়তে পারি। কেউ খেলোয়াড়দের কথা আর ভাবে না। লম্বা মৌসুমের পর আমাদেরকে আবারও নেশন্স লিগের আরও ম্যাচ খেলতে হবে এবং ছুটি মিলবে মাত্র দুই সপ্তাহের এবং একজন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ১২ মাস খেলে যাওয়ার জন্য এই বিশ্রাম যথেষ্ট নয়।” কদিন আগে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনাসহ ইউরোপের কয়েকটি ক্লাব। ‘বিদ্রোহী’ লিগটি ভেস্তে গেছে ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাগুলোর আপত্তিতে। কিন্তু আদতে খেলোয়াড়দের কথা কেউ ভাবছে না বলে অভিযোগ কোর্তোয়ার। সবাই বিষয়গুলো নিয়ে সোচ্চার হোক-এমন আহ্বান তার। “যদি আমরা কখনই কিছু না বলি, তাহলে বিষয়গুলো এরকমই থাকবে। সুপার লিগ এলো আলোচনায়, কিন্তু এটাও একই জিনিস, যেখানে অতিরিক্ত ম্যাচ খেলতে হবে এবং কনফারেন্স কাপ বা যে নামের ট্রফিই হোক না কেন, একই কথা।” “যারা সুপার লিগ চেয়েছিল, তাদের ওপর তারা ক্ষুব্ধ হলো। কিন্তু তারা খেলোয়াড়দের নিয়ে ভাবে না, শুধু নিজেদের পকেট নিয়ে ভাবে এবং এটাই বাজে বিষয়। আপনারা শুনেছেন, তারা এখন প্রতি বছর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বা বিশ্বকাপ করতে চায়, কিন্তু আমরা কখন বিশ্রাম নিব? কখনও না।” ঠাসা সূচির কবলে পড়ে খেলোয়াড়রা চোটগ্রস্ত হতে হতে একসময় সব শেষ হয়ে যাবে বলেও ক্ষোভ ঝাড়লেন কোর্তোয়া। “খেলোয়াড়রা চোটে পড়বে এবং চোটে পড়বে এবং চোটে পড়বে। তারপর শেষ হয়ে যাবে। তাই আরও ভালোভাবে, আরও বেশি করে খেলোয়াড়দের যতœ নেওয়া দরকার। আমরা রোবট নই। কেবল আরও ম্যাচ বাড়ছে, বিশ্রামের সময় আরও কমছে এবং কেউই আমাদের কথা ভাবে না।”
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা