অনলাইন ডেস্ক :
তালেবান মুখপাত্র সোহাইল শাহিন বলেছেন, তারা সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক চান এবং দেশের সব নৃ-গোষ্ঠীর অংশগ্রহণে সরকার গঠন করবেন। কাতারের রাজধানী দোহার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে ইরানের প্রেস টিভিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন সোহাইল শাহিন। তালেবান সরকারে পাশতুনদের অংশগ্রহণ থাকবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইসলামি সরকার কোনো নৃ-গোষ্ঠীর ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হবে না। আপনি জানেন যে, আফগানিস্তানের বাদাখশান প্রদেশসহ আরো কয়েকটি প্রদেশে তাজিক জাতিগোষ্ঠী রয়েছে, ফারিয়া ও সারে পোলের মতো প্রদেশগুলোতে রয়েছে উজবেক জনগোষ্ঠী। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রয়েছে পাশতুন জনগোষ্ঠী। এরা সবাই আফগানিস্তানের জনগণ এবং তারা ইসলামি সরকারের অংশ হবে। সোহাইল শাহিন জোর দিয়ে বলেন, তালেবানের নেতৃত্ব একটি অংশগ্রহণমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে যাতে আফগান সরকারে সবার অংশগ্রহণ থাকে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকারে এবং দেশ পুনর্গঠনে সব নৃ-গোষ্ঠীর অংশ নেয়ার অধিকার রয়েছে। সবাই যাতে দেশের জনগণের সেবা করতে পারে সেজন্য অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠন করা হবে। উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ সম্পর্কে তালেবানের এ মুখপাত্র বলেন, আফগানিস্তানের এটি একটি বিদেশী চক্র, দেশের মাটিতে কোথাও এদের ঠাঁই হবে না। সোহাইল শাহিন জোর দিয়ে বলেন, আফগানিস্তানের ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চাইছে তালেবান। মেয়েদের শিক্ষা এবং নারীদের কর্মসংস্থান সম্পর্ক সোহাইল শাহীন বলেন, আফগানিস্তানে হাজার হাজার গার্লস স্কুল রয়েছে। সেগুলো চালু আছে। কোনো বাধা দেয়া হচ্ছে না, মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে। নারী শিক্ষকরাও তাদের কাজ শুরু করেছেন। ফলে নারীদের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানে প্রবেশে আমাদের কোনো সমস্যা নেই তবে এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই ইসলামি হিজাব মানতে হবে। নারীদের অধিকার থাকবে, তবে শুধুমাত্র হিজাব মানার শর্ত থাকবে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২