প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইপ্রেমী ও প্রকাশকদের বার্ষিক অনুষ্ঠান অমর একুশে বইমেলা-২০২২ উদ্বোধন করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে দেশের সবচেয়ে বড় বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এবারের মেলা বসছে রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও এর পার্শ্ববর্তী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। মেলা চলবে ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এর মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।
বইমেলা সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) এবং সরকারি ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। এছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২১’ পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
তার পক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ১১টি ক্যাটাগরিতে ১৫ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। প্রত্যেক পুরস্কারপ্রাপ্তকে তিন লাখ টাকার চেক, একটি ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়।
কবিতার জন্য আসাদ মান্নান ও বিমল গুহ, উপন্যাসের জন্য ঝর্ণা রহমান ও বিশ্বজিৎ চৌধুরী, প্রবন্ধ/গবেষণার জন্য হোসেনউদ্দিন হোসেন এবং অনুবাদের জন্য আমিনুর রহমান ও রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী পুরস্কার পেয়েছেন।
অন্যান্য পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- নাটকের জন্য সাধনা আহমেদ, কিশোর সাহিত্যের জন্য রফিকুর রশীদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কাজের জন্য পান্না কায়সার, বঙ্গবন্ধুর ওপর গবেষণার জন্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, বিজ্ঞান/ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী/পরিবেশ বিজ্ঞানের জন্য ডা. শুভাগত চৌধুরী, সুফিয়া খাতুন, জীবনী ও ভ্রমণকাহিনীর জন্য হায়দার আকবর খান রনো এবং ফোকলোর জন্য আমিনুর রহমান সুলতান।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অগ্রগতি ও অবদান রাখা এবং সৃজনশীলতা ও প্রতিভার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার দেয়া হয়।
দর্শনার্থী, প্রকাশক, স্টল মালিক এবং যারা মেলার ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত তাদের সবাইকে টিকা দিতে হবে। এক্ষেত্রে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কেন্দ্র বাংলা একাডেমির প্রয়োজন অনুযায়ী টিকাদানের জন্য সব ধরনের সহায়তা দেবে।
বইমেলায় জড়িত সকল কর্মীদের প্রয়োজন অনুযায়ী করোনা টিকা ও বুস্টার ডোজ নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
মেলায় পাইরেটেড বই বিক্রি ঠেকাতে একটি টাস্কফোর্স সক্রিয় থাকবে।
প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মাসব্যাপী বইমেলা শুরু হলেও এবার দেশে করোনা ভাইরাসের ওমিক্রনের ঊর্ধ্বগতির কারণে সংক্ষিপ্ত পরিসরে মেলা আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল মনসুর, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদা এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ আহমেদ ছোটন।
বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে জীবন উৎসর্গকারী আটজনের আত্মত্যাগের স্মরণে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বইমেলার আয়োজন করা হয়।
১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনানুষ্ঠানিকভাবে মেলা শুরু হয়েছিল। কিন্তু বাংলা একাডেমি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭৮ সাল থেকে প্রতি বছর মেলা আয়োজনের দায়িত্ব নেয়।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ