অনলাইন ডেস্ক :
আগামী এক বছর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আওতাধীন কোন টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে না বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে খেলোয়াড়দের তথ্য গোপন করায় এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাফুফে। এ মৌসুমে তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হয় চকবাজার কিংস। সেই দলে বিকেএসপির তিন ফুটবলার খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু চুক্তিবদ্ধ হওয়া তিন ফুটবলার নাম পরিবর্তন করে অন্য নামে খেলেন। এরপর দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে বিকেএসপির হয়ে সেই তিনজনকে নিবন্ধন করানো হয়।
দুই লিগে দুই পরিচয়ে খেলার বিষয়টি বাফুফের নজরে আসে। এই কান্ডে বিকেএসপির কোচ রবিউল ইসলাম জড়িত রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে বাফুফে। চকবাজার কিংসের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। তার মাধ্যমেই খেলোয়াড়রা চকবাজার কিংসে নাম লেখান। এরপর দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগ শুরুর আগে বিকেএসপিকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়। এরপরেও তৃতীয় বিভাগ লিগে খেলা অন্য একজনকে দ্বিতীয় বিভাগেও খেলায় বিকেএসপি। এ নিয়ে আরামবাগ ফুটবল ক্লাব বাফুফে বরাবর অভিযোগ করে।
এরপর সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়, কোচ ও বিকেএসপির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফের আইন কর্মকর্তারা। এতে দ্বিতীয় বিভাগ লিগে পরবর্তী ম্যাচ থেকে আর অংশ নিতে পারবে না বিকেএসপি। তাদের বাকি ম্যাচগুলোতে প্রতিপক্ষকে ৩-০ গোলে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া আগামী এক বছর বাফুফের আওতাধীন কোন টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে না বিকেএসপি এবং পাশাপাশি জরিমানা দিতে হবে এক লক্ষ টাকা। বিকেএসপির সিনিয়র ফুটবল কোচ শাহীনুল হক এবং কোচ রবিউল ইসলামকে ফুটবলসংশ্লিষ্ট কর্মকান্ড থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাফুফে। পাশাপাশি দুই জনকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে এবং নাম পরিবর্তনকারী চার খেলোয়াড়কে নিজ দলের পক্ষে পরবর্তী ছয় ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা