November 17, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, August 5th, 2022, 9:10 pm

এক যুগ পর মৃত্যুদন্ড পাওয়া আসামী গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ :
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে স্ত্রী ও সন্তান হত্যার মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঢাকার সাভারের সাভারের শাহিবাগ এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৪।
র‌্যাব-৪ এর মানিকগঞ্জ অঞ্চলের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মো.আরিফ হোসেন শুক্রবার দুপুরে এসব তথ্য জানান।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৪৭ বছরের জাকির হোসেনের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের জিয়নপুর এলাকায়।
নিহত নিপা আক্তার দন্ডিত জাকির হোসেনের স্ত্রী।
এজহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী নিপা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং নিপাকে হত্যার শব্দে তিন বছরের শিশু কন্যা জ্যোতি কান্না-কাটি করতে থাকলে তাকেও শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরের দিন সকালে এঘটনায় নিহতের বাবা আবু হানিফ চারজনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত নামা আসামী করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন এবং প্রধান আসামী জাকির হোসেনসহ সবাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসামীদের কোর্টে পাঠানো হলে এক মাস পরে প্রধান আসামী ছাড়া বাকিরা জামিনে মুক্তি পায়। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর কারাভোগের পর প্রধান আসামী জাকির হোসেন ২০১০ সালে জামিনে বের হয়ে পলাতক থাকেন।মামলার তদন্তকর্মকর্তা আসামী জাকির হোসন, বাবা নইম উদ্দিন শেখ, মা মালেকা বানু,ভাবি তাহমিনা আক্তার, ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন, চাচাতো ভাই পারভেজ, জাকিরের বন্ধু আমিনুল ইসলাম, শ্যালক স্বপন ও হাসানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্শিট দাখিল করেন।
২০২১ সালের ১২ অক্টোবর মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিচারিক আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য আসামীদের দোষী প্রমাণিত করে জাকির হোসেনের অনুপস্থিতিতে তাকে মৃত্যুদন্ড এবং বাকিদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মালেকা বানুকে খালাস এবং মামলা চলাকালে নইম উদ্দিন শেখ মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো.আরিফ হোসেন জানান,মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী জাকির হোসেন জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর নাম পরিবর্তন করে দ্বিতীয় বিয়ে সংসার করতে থাকেন। অতপর দীর্ঘ ১২ বছর গত ৪ আগস্ট রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার সাভারের শাহিবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আইনী প্রক্রিয়া শেষে দৌলতপুর থানায় আসামীকে হস্তান্তর করা হয়েছে।