করোনাভাইরাসের সংক্রমন বাড়লেও এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘সীমিত পরিসরেই আপাতত পাঠদান চলবে। এক সপ্তাহ আমরা এভাবে মনিটর করবো, যদি বেড়ে যায় তবে বন্ধ করে দেয়া হবে।’
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছি তখন এমন পরিস্থিতি ছিল। তখন শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনও দেয়া ছিল না। এখন যে পরিস্থিতি বিদ্যমান তাতে আমাদের শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশের ভ্যাকসিন নেয়া শেষ হয়েছে।’
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কাজ চলমান রয়েছে। নিয়মিত সেটা মনিটর করা হচ্ছে। এখন আরও জোরদার করা হয়েছে। আগে শুধু স্কুলগগুলোতে মনিটর করা হতো এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে মনিটর বাড়ানো হবে।
কওমি মাদরাসা বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কওমি মাদরাসায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মনিটর করায় ঘাটতি রয়েছে। যেহেতু কওমি মাদরাসা আমাদের আওতায় নেই সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব।
দীপু মনি বলেন, করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির সঙ্গে বৈঠকে নানা বিষয় পর্যালোচনা করা হয়েছে। সেসব বিষয় বিবেচনা করে আমরা এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করবো না। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করবো। আগের মতো সীমিত পরিসরেই কার্যক্র চলবে। আমরা সাতদিন দেখবো এভাবে তারপর আবার বৈঠকে বসবো।
তিনি বলেন, ‘ওমিক্রনের ট্রেন্ড হলো সকলেই আক্রান্ত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বাসায় রাখলেও আক্রান্ত হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘পড়াশুনায় তাদের যে গ্যাপ পড়েছে তা পূরণ করতে হবে। পাশাপাশি তাদের বাড়ির অন্য সদস্যদেরও মনিটর করবো। যাদের ঝুঁকি বেশি তাদের জন্য অনলাইনে ক্লাস নেয়া হবে। যাদের ভ্যাকসিন নেয়া হয়নি তারা ১২ জানুয়ারির তারিখের পর অনলাইনে ক্লাস করবে। তবে ভ্যাকসিন নেয়ার পর স্বশরীরে ক্লাস করবে।’
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এখন পর্যন্ত ৪৮ লাখ ১৯ হাজার ৫৫৪ জন শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন দেয়া শেষ হয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সকলের শিক্ষার্থীকে ভ্যাসকিন দেয়া শেষ হবে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ