November 30, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, September 12th, 2022, 7:44 pm

“এখন পর্যন্ত সব ম্যাচ জেতা একমাত্র দল রিয়াল”

অনলাইন ডেস্ক :

লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে মৌসুমে চমৎকার শুরুর ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে এখন পর্যন্ত সব ম্যাচ জেতা একমাত্র দল তারা। এমন দারুণ শুরু পেয়ে ভীষণ খুশি দলটির তরুণ ফরোয়ার্ড রদ্রিগো। তার মতে, নতুন মৌসুমে এর চেয়ে ভালো শুরু তাদের হতে পারতো না। দুর্দান্ত যাত্রায় রিয়ালের সবশেষ জয়টি এসেছে গত রোববার, স্পেনের শীর্ষ লিগে। মায়োর্কার বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৪-১ গোলে জিতেছে দলটি। সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে ম্যাচটিতে শুরু থেকে চমৎকার ফুটবল খেলে রিয়াল। তারপরও ক্ষণিকের ভুলে পিছিয়ে পড়ে তারা। তবে পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি; ফেদে ভালভেরদের অসাধারণ গোলে বিরতির আগেই সমতা টানে চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয়ার্ধেও একইভাবে দাপট দেখিয়ে ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগো ও আন্টোনিও রুডিগারের গোলে বড় জয় পায় স্পেনের সফলতম ক্লাবটি। পাঁচ ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে রিয়াল। এই শতাব্দীতে কেবল দ্বিতীয়বারের মতো লা লিগার আসরে প্রথম পাঁচ ম্যাচে জয় পেল প্রতিযোগিতাটির রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা, ২০০৯-১০ মৌসুমে প্রথম এই স্বাদ পেয়েছিল তারা। ২০২২-২৩ মৌসুমে সব মিলিয়ে সাত ম্যাচ খেলে সবকটি ম্যাচেই জিতেছে রিয়াল। মায়োর্কার বিপক্ষে দাপুটে জয়ে রিয়ালের সামর্থ্য ও দুর্দান্ত ফর্মের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠল আরেকবার। চোটের কারণে ছিলেন না আক্রমণের মূল ভরসা অধিনায়ক করিম বেনজেমা। সেই সঙ্গে ব্যস্ত সূচিকে সামনে রেখে আরও পাঁচটি পরিবর্তন এনে একাদশ সাজান আনচেলত্তি। তবে দলের পারফরম্যান্সে এর প্রভাব দেখা যায়নি। নিজে দারুণ একটি গোল করার পাশাপাশি মায়োর্কার বিপক্ষে সতীর্থের গোলেও অবদান রাখেন রদ্রিগো। ম্যাচের পর ক্লাবের ওয়েবসাইটে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে তিনি বলেন, ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে এই মৌসুমে তাদের পক্ষে দারুণ কিছু অর্জন সম্ভব। “আমাদের শুরুটা এর চেয়ে ভালো হতে পারত না। এই জয় আমাদের প্রচেষ্টার ফল। আমাদের সামনে এখন দুটি কঠিন ম্যাচে। পরিশ্রম করতে হবে এবং ঠিক কাজগুলো করতে হবে, কারণ একটি দুর্দান্ত মৌসুম উপভোগ করার জন্য আমাদের হাতে সব রসদ রয়েছে।” ম্যাচে রিয়ালের দ্বিতীয় গোলটি করেন ভিনিসিউস, অ্যাসিস্ট রদ্রিগোর। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের বাড়ানো পাস ধরে দুই জনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে একজনকে কাটিয়ে রক্ষণচেরা পাস দেন রদ্রিগো। আর দারুণ এক টোকায় বল বক্সে নেওয়ার ফাঁকে শেষ ডিফেন্ডারকে এড়ান ভিনিসিউস। এরপর দ্বিতীয় ছোঁয়ায় কোনাকুনি শটে গোলটি করেন তিনি। রদ্রিগো বললেন, জাতীয় সতীর্থের সঙ্গে খেলাটা উপভোগ করেন তিনি। “ভিনি (ভিনিসিউস) ও আমার মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভালো। আমাদের দুজনকে কাছাকাছি থাকতে হতো।” “(লুকা) মদ্রিচ আক্রমণ শাণাতে বল বাড়াচ্ছিলেন এবং ম্যাচের অধিকাংশ সময় কোচ আমাকে সেখানেই থাকতে বলেছিলেন। (ভিনিসিউসের গোলের সময়) আমি ফাঁকা জায়গা পেয়ে ভিনিকে পাস দিলাম এবং গোল হলো। আমাদের শুধু কাছাকাছি থেকে এগিয়ে যেতে হতো।”