অনলাইন ডেস্ক :
বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে আরও একবার দল বাজেভাবে হারায় খারাপ লাগা থাকলেও হতাশায় ভেঙে পড়ছেন না বার্সেলোনা কোচ রোনাল্ড কুমান। কারণ পারিপার্শ্বিক অনেক সমস্যার মধ্যে এগিয়ে চলা দলটিতে চোটও যেভাবে বড় থাবা বসিয়েছে, তাতে এমন ফল অস্বাভাবিক নয় বলেই মনে করেন এই ডাচ কোচ। সমর্থকদেরও তাই কঠিন বাস্তবতা অনুধাবণ করার পরামর্শ দিলেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচটি মাঠে গড়ানোর আগে থেকেই বায়ার্নকে ফেভারিট ভাবা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও ঠিক তাই, একচেটিয়া আধিপত্য করে প্রতিপক্ষকে হেসেখেলে উড়িয়ে দিয়েছে বুন্ডেসলিগার দলটি। কাম্প নউয়ে মঙ্গলবার রাতে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতেছে ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল। লা লিগার ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নিয়মের কারণে ক্লাবের ইতিহাসের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে ব্যর্থ হয় বার্সেলোনা। আর গ্রীষ্মকালীন দলবদলের শেষ দিনে এক বছরের জন্য ধারে গ্রিজমানকে তার সাবেক ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদে পাঠায় কাম্প নউয়ের দলটি। আর্থিক দুরাবস্থা কাটাতে আরও কয়েকজন খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিতে হয়েছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে চোট সমস্যা। চোটের কারণে বাইরে আছেন উসমান দেম্বেলে, আনসু ফাতি, দলে নতুন আসা সের্হিও আগুয়েরো। সেই তালিকায় গত সপ্তাহে যোগ হয় মার্টিন ব্রাথওয়েটের নাম। ফলে বায়ার্নের বিপক্ষে পূর্ণশক্তির দলই মাঠে নামাতে পারেননি কুমান। মাঠে তার প্রভাব ছিল স্পষ্ট। খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। অথচ ম্যাচের আগে কুমান আশাবাদী ছিলেন, তার দল বিশেষ কিছু করে দেখাবে। বায়ার্নের বিপক্ষে ২০১৯-২০ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার আশার কথা শুনিয়েছিলেন তিনি। তবে ম্যাচ শেষে বদলে গেছে তার সুর। চোটের কারণে দলের একাধিক তারকার না থাকায় তাদের পক্ষে খুব বেশি কিছু করার ছিল না বলেই মত তার। জীবনে সবাইকে বাস্তববাদী হতে হবে। আমাদের তরুণ খেলোয়াড়রা দেখিয়েছে যে আমাদের ভবিষ্যৎ আছে এবং আমাদের অনেক খেলোয়াড় চোট কাটিয়ে ফিরবে। (এই ম্যাচে) যা হয়েছে এটাই এখনকার বাস্তবতা। আক্রমণে আমাদের অনেক খেলোয়াড় নেই। সামনে এগিয়ে যেতে দলে আরও বিকল্প খেলোয়াড় ও আরও গতি পেতে আমাদের কয়েকটা সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। আমি অজুহাত খুঁজতে চাই না, কিন্তু সবাই সমস্যাটা জানে যে (চোটের জন্য) কিছু খেলোয়াড়দের আমরা পাইনি। ম্যাচে গোলের উদ্দেশে তারা পাঁচটি শট নিলেও তার কোনোটিই ছিল না লক্ষ্যে। অন্যদিকে বায়ার্নের ১৭ শটের সাতটিই ছিল লক্ষ্যে। দারুণ ফর্মে থাকা বায়ার্নের সামনে নিজেদের অসহায় আত্মসমর্পণের কারণ হিসেবে ৫৮ বছর বয়সী কোচ তুলে ধরলেন শক্তিমত্তায় দুই দলের বিস্তর ব্যবধান। (আক্রমণে) খুব ভালো গতি না থাকলে বায়ার্নের মতো দলের বিপক্ষে খেলা খুব কঠিন। আমাদের এটা মেনে নিতে হবে এবং কাজ চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের এটাও মাথায় রাখতে হবে আমরা কোন দলের বিপক্ষে খেলেছি। বায়ার্নের মতো দলকে আঘাত করতে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে। প্রতিপক্ষ ভালো হলে তা মেনেও নিতে হবে। কিন্তু একই বিষয়ে কথা বলতে বলতে আমি কিছুটা ক্লান্ত, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি একটি ভিন্ন দল হবে কারণ আমরা তখন আরও খেলোয়াড়দের পাব। দল হিসেবে বায়ার্ন যে এই মুহূর্তে বার্সেলোনার চেয়ে অনেক এগিয়ে, কুমান মেনে নিলেন সেটাও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের প্রশ্নে বায়ার্ন ফেভারিট দলগুলোর একটি। তাদের প্রথম গোলে আমরা কিছুটা দুর্ভাগা ছিলাম, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তারা প্রমাণ করে যে এই মুহূর্তে তারা আমাদের চেয়ে ভালো দল।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা