অনলাইন ডেস্ক :
আবেগের প্রকাশে কখনোই রাখঢাক খুব একটা রাখেন না জোসে মরিনিয়ো। তবে সেই প্রকাশ বেশির ভাগ সময়ই হয় খ্যাপাটে। তাতে মিশে থাকে বিতর্ক বা ক্ষোভের খোলামেলা প্রকাশ। তবে এবার দেখা গেল তার ভিন্ন রূপ। ইউরোপা কনফারেন্স লিগের ফাইনালে ওঠার পর এএস রোমা কোচের চোখে দেখা গেল জল। আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়ে তিনি ডানা মেলে দিলেন আবেগের আকাশে। সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লিগে বৃহস্পতিবার লেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারায় রোমা। প্রথম ইউরোপা কনফারেন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করে তারা দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলের অগ্রগামিতায়। ফাইনালে ওঠার পর অশ্রুসজল চোখে মরিনিয়োকে দেখা যায় কোচিং স্টাফদের জড়িয়ে ধরতে। ফুটবলারদের নিয়ে আবেগময় উদযাপন করতে। এমনিতে খুব বড় টুর্নামেন্ট বা সাফল্য এটি নয়। ইউরোপের তৃতীয় সারির ক্লাব টুর্নামেন্ট বলে কথা! কোচ হিসেবে শীর্ষ ক্লাব টুর্নামেন্ট উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ দুই দফায় পেয়েছেন মরিনিয়ো, প্রথমবার পোর্তোর হয়ে, পরেরবার ইন্টার মিলানে। দ্বিতীয় সারির টুর্নামেন্ট ইউরোপা লিগও জিতেছেন তিনি পোর্তো ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে। তার পরও কনফারেন্স লিগে ফাইনালে উঠে কেন এতটা আবেগ পেয়ে বসল তাকে? মরিনিয়ো নিজেই ব্যাখ্যা করলেন ম্যাচ শেষে। “যদিও ট্রফি জিতে যাইনি, কেবলই ফাইনালে উঠেছি, তার পরও এই প্রাপ্তির মানে অনেক। অবশ্যই এর চেয়ে বড় মুহূর্ত আমার ক্যারিয়ারে এসেছে। তবে আমার এই অনুভূতি ¯্রফে নিজের জন্য নয়, আমার দলের খেলোয়াড়দের ও সমর্থকদের আবেগ ছুঁয়ে যাচ্ছে আমাকে। আমাদের জন্য, এটিই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।” “আমার চোখের জল ঝরেছে, কারণ আমার এই আবেগ তাদের সবার জন্য, যারা এই ক্লাবকে ভালোবাসে। এটির চেয়েও অনেক মর্যাদার ফাইনাল খেলার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তবে এই ক্লাবে আমরা যেভাবে একটি পারিবাহিক আবহ তৈরি করতে পেরেছি, সেদিক থেকে এই প্রাপ্তি আমার কাছে স্পেশাল।” কোচ হিসেবে মরিনিয়োর এটি ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টের পঞ্চম ফাইনাল। আগের সব ফাইনালেই তিনি হেসেছেন জয়ের হাসি। এবারের ফাইনাল আগামী ২৫ মে, রোমার প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসের ক্লাব ফেইনুর্ড।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা